মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাদা পোশাকে পুলিশ তার চারপাশে ঘুরছিল। ফলে প্রবীণ রোহিঙ্গা লোকটি কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। কারণ, তারা এখনো সার্বক্ষণিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া মিয়ানমার সরকারের অস্বীকার, অবজ্ঞা ও প্রপাগান্ডা তো রয়েছেই। মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে সরকারি সফরে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই লোক এবং আরো কয়েকজন ঘোলাটে চোখে সাংবাদিকদের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এখনো এই এলাকায় রয়ে যাওয়া দুই লাখ রোহিঙ্গার একজন তিনি। আর বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে সাত লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, মিয়ানমারের টার্গেট কিলিংয়ে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ ছিল। তারা হত্যা, ধর্ষণের পাশাপাশি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। নোবেল পুরস্কারজয়ী অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের নেতারা এই নৃশংসতায় একেবারে নীরব থাকে। তারা বলতে থাকে, বিদ্রোহ দমনের জন্য এই নৃশংসতা চালানো হয়েছিল। মিয়ানমার তাদের প্রপাগাÐার অংশ হিসেবে সেখানে মিডিয়া সফরের ব্যবস্থা থাকে। পুলিশ বহরে করে পালাক্রমে বিদেশী সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে যায়। এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বললেন, এখনো মুসলিমরা রয়ে গেছে। তাহলে কিভাবে গণহত্যা হলো? ওই প্রবীণ রোহিঙ্গা শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন। তবে তা ওয়াশিংটন পোস্টের ফোন কলে। এখনো রাখাইনে বাস করা তিন লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সরকার যে ছবি প্রকাশ করছে, তাকে বিদ্রুপ করার জন্যই তার এই কথা বলা। তিনি যেখানে বাস করেন, তার কাছাকাছি এলাকার কিছু বাড়িতে এই চলতি সপ্তাহেও আগুন দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা যেন সাংবাদিকদের বলি যে আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা হয়। তারা আমাদের বলতে বলে যে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করছি। তবে এসব কথা যখন বলছিলেন, তখন তিনি তার নিরাপত্তার ভয় পাচ্ছিলেন। রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নৃশংসতা নিয়ে প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার এখনো সব অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি দীর্ঘ দিন ধরে যে বৈষম্য করা হচ্ছে, তার অবসান ঘটাতেও আগ্রহী নয় মিয়ানমার সরকার। তারা তাদের সামরিক বাহিনীকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও রাজি নয়। কিংবা সাংবাদিকদের অবাধে ওই এলাকায় যেতে দিতেও রাজি নয়। কাছের ইনদিন এলাকায় ১০ মুসলিমকে নৃশংসভাবে হত্যার খবর প্রকাশ করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে স¤প্রতি কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি সদয় আচরণ করার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বলছে, তারা এখনো সার্বক্ষণিক হয়রানির শিকার হচ্ছে। উত্তর রাখাইন রাজ্যের কিছু এলাকায় প্রবেশের সুযোগ মাত্র পেয়েছে জাতিসংঘ। তারা বলছে, রোহিঙ্গারা এখনো ভীত-সন্ত্রস্ত। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহসিস বলেন, অনেক এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ বিরাজ করছে। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।