Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

চবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:০০ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২১ আগোস্ট গ্রেনেট হামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষে ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। এসময় দুই পক্ষের ইট পাটকেল ছোড়াছুড়িতে প্রক্টর অফিসের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে যায় বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চবি ছাত্রলীগর বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একই কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তারা দুটি পক্ষই আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত দুই গ্রুপ দুই হলে অবস্থান নিয়ে থাকে এবং ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আহতরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সাদ্দাম হোসাইন, অর্থনীতি বিভাগের মোহাইমিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নাসিম চৌধুরী এবং মার্কেটিং বিভাগের রেদওয়ান ইবনে সাত্তার এরা ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী । অন্যদিকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শরীফুল ইসলাম এবং আইন বিভাগের সাদাফ খাঁন খবির রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। আহতদেরকে চবি মেডিক্যেলে চিকিৎসা দেওয়া হয় ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে যানা যায়, ২১ আগোস্ট গ্রেনেট হামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফজলে রাব্বি সুজনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে তাদের নেতাকর্মীরা অবস্থানকালে সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মারধর করে। পররর্তীতে ওখানেই দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিজয় গ্রুপের চার কর্মী আহত হয়। পরে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোরওয়ার্দী হলে ও সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। এসময় সিএফসি গ্রুপের দুই কর্মী মটর বাইকে যাওয়ার সময় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে তাদের উপর ইট পাথর ছোড়া হয় এসময় তারা দুইজন আহত হয়।
বিজয় গ্রুপের নেতা ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, নেত্রীকে হত্যার জন্য যারা গ্রেনেড হামলা করেছিল তাদের বিচারের রায় হয়েছে আজ। এতে ছাত্রলীগ খুশি হয়ে আনন্দ মিছিল বের করে। কিন্তু জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছাত্রলীগ নামধারীরা আনন্দ মিছিলে হামলা চালায়।
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জামান নুর বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমাদের কর্মীরা তা প্রতিহত করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাসে যে বা যারা উত্তেজনা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ### ১০-১০-২০১৮

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ