বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার সহযোগীতায় ‘ভর্তি জালিয়াতি চক্রে’র দুই সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার ভোর ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় অভিযুক্তদের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে আসা এক গাড়ি চালককে আটক করা হয়। তারপর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- আশিক-ই-আতাহার, সাকিব উল সাদাত ও আনোয়ার হোসেন। এদের মধ্যে আশিক-ই-আতাহার মেজবাহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঠাকুরগাওঁ জেলার ইসলামবাগের নূর ইসলাম সরকারের পুত্র। আর সাকিব-উল-সাদাত হলেন জবি রসায়ন বিভাগ অর্নাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার মোঃ ফজলুল হকের পুত্র। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন হলেন তাদের গাড়ি চালক। তিনি উবারে গাড়ি চালান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিক-ই-আতাহার ও সাকিব উল সাদাত ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ‘প্রশ্নপত্র’ দেয়ার চুক্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের কাছে থেকে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের প্রশ্ন ও সি ইউনিটের জামিল আহম্মেদ (রোল-৩১৪৮৮৪) নামের এক পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃত ‘জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা’ জাবির ভর্তিচ্ছুকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিকী অনুষদ) প্রথম শিফটের প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখায়। ওই ভর্তিচ্ছু বিষয়টি জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান নীলকে জানায়। তাৎক্ষণিক নীল বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইনকে অবহিত করেন এবং অভিভাবক সেঁজে ওই জালিয়াত চক্রের সদস্যদের সাথে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র নেয়ার চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী জালিয়াতি চক্রের দুই ‘সদস্য’ একটি মাইক্রোবাস করে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। পরে ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে মাহবুবুর রহমান নীলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে আটক করেন। এ সময় তাদেরকে মারধর করা হয়। পরে ভোর ৬টার দিকে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের হাতে তুলে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তবে আটককৃতদের পাশপাশি ওই চক্রের এক ‘হোতা’ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান নীল বলেন, ‘কেউ টাকা দিয়ে জাবির প্রশ্ন দিচ্ছে বিষয়টি শোনার পর আমি একজন ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে এবং বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র হিসেবে মানতে পারিনাই। তাই তাদেরকে ধরার জন্য টোপ দেই। এই টোপে পা দিয়ে তারা আজ ভোরে প্রশ্ন দিতে আসে। আমি আমার লোকজন নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। পরে ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে আমরা তাদেরকে ধরি। পরে প্রক্টর স্যারকে ডেকে স্যারের হাতে তুলে দেই।’
এ বিষয়ে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় দুইজন জালিয়াত চক্রের সদস্যকে আটক করেছি। তারা প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে এক ভর্তিচ্ছুর সাথে প্রতারণা করছিল। আটককৃতদেরকে বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।