পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ডাক্তার নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে আবারও আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদূদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে যে, খালেদা জিয়া ইচ্ছা করলে তার পছন্দ অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আর আদালতের নির্দেশনা আছে, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে স্বাচিবের কোনও সদস্য রাখা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা প্রতিফলিত হচ্ছে না। সুতরাং এখন আমরা দেখবো যে, এই ডাক্তার নিয়ে ম্যাডাম সন্তুষ্ট হন কিনা। যদি না হন, তাহলে আমরা এ ব্যাপারে আবারও হাইকোর্টে যাবো। গতকাল (রোববার) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আবদুল্লাহ আল হারুনের সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি এবং হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা মেনে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে বলেছি। যে অবস্থায় উনাকে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসময় মওদূদ বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত বোর্ডে ফিজিওথেরাপিস্ট, গাইনোলজিস্ট রাখার জন্য হাসপাতালের পরিচালককে আহ্বান জানিয়েছি। খালেদা জিয়ার পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ফাতেমার বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। ফাতেমা গত ৮ মাস ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছে। তাকে রাখার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। সে বিষয়টিও আমরা জানিয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মওদূদ আরও বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। হাসপাতালে পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমূখ।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগের নিয়মেই চিকিৎসা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড পুনরায় না বসা পর্যন্ত আগের নিয়মেই চিকিৎসা চলবে। রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় ফাইলপত্র পর্যবেক্ষণ করার পর বোর্ড এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে এদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। আজ আবারো তাকে দেখতে যাবেন চিকিৎসকরা।
আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, মেডিকেল বোর্ডের ৫ সদস্য দুপুর পৌনে ১২ টায় বেগম জিয়ার চিকিৎসা হিস্ট্রি পর্যালোচনা করেন। কিন্তু তার সঙ্গে তারা সরাসরি দেখা করেন নি। এ সময় বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন উপস্থিত ছিলেন। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। তিনি বলেন, পূর্বের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসা চলছে। নতুন করে বোর্ড বসার পরে বেগম জিয়ার হিস্ট্রি ও তার চাহিদানুযায়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
পরিচালক জানান, সোমবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আবার খালেদা জিয়ার কেবিনে যাবেন। সুবিধাজনক সময়ে তার প‚র্ণাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, বোর্ডের সদস্য সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জির পরিবর্তে তাসনিয়া পারভিন আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার পর অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা, দাবি ও বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোর পর গত শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।