গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রাখার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করছে দুই সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এতে রাজধানীজুরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড’ ও ‘মুক্তিযোদ্ধার পরিবার’ নামে দুটি সংগঠনের নেতা কর্মীরা বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে ট্রাফিক পলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, “গতরাত থেকে তারা এখনও অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। যান চলাচল বন্ধ আছে, তবে কোনো গোলাযোগ হয়নি।”
বুধবার রাতে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে ভোরের দিকে লোক সমাগম কমে এলেও সকালে আবার বাড়তে শুরু করে। এই অবস্থানের কারণে মৎস্য ভবনের দিক থেকে শাহবাগ হয়ে কোনো যানবাহন কারওয়ান বাজার বা এলিফেন্ট রোডের দিকে যেতে পারছে না। শাহবাগ মোড় হয়ে কোনো গাড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যেতে পারছে না।
আর সায়েন্স ল্যাব মোড়ের দিক থেকে আসা গাড়ি শাহবাগ মোড়ে এসে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে দিয়ে রূপসী বাংলা মোড় হয়ে অনেকটা পথ ঘুরে মতিঝিলের দিকে যাচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এতদিন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। এই কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এরপর কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। ওই কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে, যা বুধবার মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।