Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোনালদোকে মনে পড়ছে রিয়ালের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

‘এখানে থাকতে সে অনেক গোল করিছিল। কিন্তু এরই মধ্যে এটা অতীত হয়ে গেছে। আর আমরা অতীত নিয়ে থাকতে পারি না।’ কথাগুলো রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের। তো হঠাৎ গোলের প্রসংগ আসছে কেন? আর ‘সে’টাই বা কে?

টানা তিন ম্যাচ গোল কোন গোল করতে পারেনি রিয়াল। এবার নিশ্চয় ‘সে’কে আলাদাভাবে চিনিয়ে দেয়ার দরকার নেই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আমলে যে এত দীর্ঘ সময় গোলহীন থাকেনি রিয়াল। পর্তুগিজ তারকাকে ছাড়া মৌসুমের শুরুটা ভালোই ছিল রিয়ালের। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোনালদোর অভাব স্পষ্ট হতে শুরু করেছে বার্নাব্যুর দলটিতে। গোলহীন তিন ম্যাচের মধ্যে হার দুটিতেই। যার সর্বশেষ সংযোজন পরশু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মস্কোর মাঠে ১-০ গোলের হারটি।

ম্যাচের মাত্র ৬৫ সেকেন্ডের মাথায় বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের ভুলে গোল খেয়ে বসে রিয়াল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাকি সময়টাতে ৭২ শতাংশ বলের দখল আর ২৬ বার গোলে শট নিয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেনি টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এই প্রথম এত বেশি শট নিয়েও গোল পেল না রিয়াল। এর আগে ২০০৭ সালে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর সময়ে টানা তিন ম্যাচ গোলহীন ছিল দলটি। সব মিলে সেভিয়া, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও মস্কোর বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে পোস্টে ৭৪ বার পোস্টে শট নিয়েও ব্যর্থ রিয়াল। রোনালদোকে মনে না পড়ে উপায় কি।

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে এদিন সার্জিও রামেস, মার্সেলো ও গ্যারেথ বেলকে ছাড়াই খেলতে নামে রিয়াল। এরপর বর্ষসেরা তারকা লুকা মড্রিচকে একাদশের বাইরে রাখা হুলেন লোপেতেগির ট্যাকটিসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যদিও তিনি আক্রমণে নামান মার্কো অ্যাসেনসিও, করিম বেনজেমা ও ভাসকেসদের মত পরীক্ষিতদের। এছাড়াও কারবাহাল, নাচো, ক্রুস সবাই ছিলেন। ৫৮ মিনিটে ভাসকেস ও কাসিমিরোকে তুলে মারিয়ানো ও মড্রিচকে নামিয়েও কাজের কাজ সেই গোলের দেখা পাননি।

ম্যাচে সময়ের কাটা দ্বিতীয় মিনিটের ঘরে যাওয়ার সময় ভারানেরকে ব্যাকপাস দেন ক্রুস। কিন্তু পাসের গতি ধীর হওয়ায় ক্ষীপ্র গতিতে বল ছিনিয়ে নেন মস্কোর নিকোলা ভøাসিক। বক্সের মধ্য থেকে নাভাসকে পরাস্থ করতে কোন বেগ পেতে হয়নি ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের। বাকি সময়ে আক্রমণের বান বইয়ে দিয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেনি রিয়াল। ভাগ্যও কি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সফরকারীদের দিক থেকে? নইলে বেনজেমা ও কাসিমিরোর শটের পর মারিয়ানোর হেডও কেন পোস্টে লেগে ফিরে আসবে।

ম্যাচের শেষ সময়ে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন রাশিয়ার জাতীয় দল থেকে কিছুদিন আগেই অবসর নেয়া ও দেশটির কিংবদন্তি গোলরক্ষক আকিনফিফ।

ইতোমধ্যে চারিদিকে নানা কানাঘুসো শুরু হয়েছে। ম্যাচ শেষে মড্রিচ তাই বলেন, ‘এটা কোন সংকট নয়। কিন্তু যেভাবে আমাদের পারফর্ম করা উচিত সেভাবে পারছি না। কোন সন্দেহ নেই আমরা জয়ের ধারায় ফিরব।’ নাচো দুষছেন ভাগ্যকে। আর দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক নাভাসের দৃষ্টি ফিরেছে পিছনে, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রিয়াল মাদ্রিদকে অনেক উঁচুতে রেখে গেছে। আপনি একটা আঙুল দিয়ে সূর্যকে ঢাকতে পারেন না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিয়াল

২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ