Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছে ভুটান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:০০ পিএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

ভুটানে ১৮ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এশিয়ার এই নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক রাউন্ডের নির্বাচন শেষ করে এখন চূড়ান্ত রাউন্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিস্ময়করভাবে ক্ষমতাসীন দলটি প্রাথমিক রাউন্ডে পরাজিত হয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে। এখন জাতীয় পরিষদে ৪৭টি আসনের জন্য সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুটি দল লড়বে।
প্রথম রাউন্ডে প্রতিন্দ্বিতা করেছিলো ভুটানের চারটি নিবন্ধিত দল: পিপলস ডেমক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), দ্রুক ফুয়েনসাম শোগপা (ডিপিটি), দ্রুক নিয়ামরুপ শোগপা (ডিএনটি) ও ভুটান কুয়েননিয়াম পার্টি (বিকেপ)। এতে বর্তমান ক্ষমতাসীন পিডিপি তৃতীয় স্থান লাভ করে।
৭৩৭,৫৫৩ জন জনসংখ্যার দেশটিতে নির্বাচন কমিশনের হিসাবে ভোটার হলেন ৪৩৮,৬৬৩ জন। নির্বাচন হয় সাধারণ ব্যালট ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। এবারের নির্বাচনে ৬৬.৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০১৩ সালের প্রাথমিক রাউন্ডে ভোট পড়েছিলো ৫৫.৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পায় ডিএনটি, ৩১.৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে বর্তমান বিরোধী দল ডিপিটি, ৩০.৯ শতাংশ।
দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থী ঠিক করে দিতে হয়। তা না হলে দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয় বলে ধরে নেয়া হয়। আরেকটি বিষয় হলো ভুটানের নির্বাচনে প্রার্থীদের অন্তত গ্রাজুয়েট হতে হয়।
নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হয় এবং একটি কেয়ারটেকার সরকার গঠন করা হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। নতুন সরকার গঠনের পর তার হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকার বিদায় নেয়। রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক এই সরকারের নিয়োগ দেন। রাজার দায়িত্ব অনেকটা প্রেসিডেন্টের মতো। প্রধানমন্ত্রীর মতো দৈনন্দিন কাজ করেন কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান। তবে কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তিনি।
এর আগে গত ২০ এপ্রিলে ভুটান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আসন সংখ্যা ২৫। এর মধ্যে ২০টি আসনে নির্বাচন হয়, বাকি পাঁচটি আসনে রাজা মনোনয়ন দেন। নির্দলীয় ভিত্তিতে এনসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কোন ধর্মীয় নেতাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয় না।
দুই বৃহৎ রাষ্ট্র চীন ও ভারতের মাঝে ক্ষুদ্র এই দেশটি দীর্ঘদিন রাজার দ্বারা শাসিত হয়েছে। ২০০৮ সালে এটি একটি গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের রূপ পায়। বর্তমান রাজা ওয়াংচুক রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান মাত্র। সূত্র : হিমাল সাউথ এশিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুটান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ