রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে ভূঁইপুর গ্রামের ইরামতি খালের উপর একটি ব্রিজ না থাকায় এক কিলোমিটার সড়ক পথের জন্য ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ছয় থেকে সাতটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার নিভৃতপল্লী এলাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভূঁইপুর গ্রাম। সরেজমিন ওই ভূঁইপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এই গ্রামের ওপারে মুথুরাপুর গ্রাম অবস্থিত। গ্রাম দুটির অবস্থা করুণ। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত ওই ভূঁইপুর ও মুথুরাপুর গ্রামে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেশ কিছু পাকা বাড়ি-ঘর নির্মান হলেও দীর্ঘদিনেও যোগাযোগ ব্যাবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। ওই ভূঁইপুর মুথুরাপুর গ্রাম সংলগ্ন ইরামতি খাল এই ওয়ার্ডকে দু’ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। ভূঁইপুর গ্রামের মৃত আরফান আলী আকন্দের ছেলে আকরাম হোসেন, আলহাজ আজিজার রহমানের ছেলে গাজীউর রহমান গাজী, শফিকুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধু চুমকী, মুথুরাপুরের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক আলহাজ নাজিমুদ্দীন, মোত্তালেব আলীর ছেলে আজিজুল হক, আলহাজ আব্দুল হোসেনের ছেলে আরেফিনসহ আরো অনেকে জানান, গ্রামের এই খালের ওপারে মুথুরাপুর ও আলতাফনগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও হাট-বাজারসহ আলতাফনগর রেলস্টেশন রয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি এই ইরামতি খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের। বহুবার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় এসে অনেক জনপ্রতিনিধি খালটির উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হয়ে আর কেউ কথা রাখেননি। আজও খালটির উপর সেতু নির্মাণ হয়নি।
গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে খালটির ওপর অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। যে কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এই গ্রামসহ ছয় থেকে সাতটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে প্রায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মহিলা, শিশু সহ বৃদ্ধদের দুর্ভোগ আরো বেশি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গ্রামগুলোর মানুষের দুর্ভোগ আরো বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার নূর মোহাম্মদ জানান, প্রায় সাত বছর পূর্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ওই ভূঁইপুর মুথুরাপুর গ্রামের মাঝে ইরামতি খালের দু’পার্শ্বে রাস্তার জন্য মাটি ভড়াটের কাজ করেছে। গ্রামবাসী এই খালের ওপর ব্রিজের আশায় রাস্তা চওড়ার জন্য নিজেদের জমি দু’পার্শ্বে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সেই আশা পূরণ হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী হেলালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য মাপ নিয়ে যায়, কিন্তু ব্রিজটি মাপে বড় হওয়ায় সেই প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেনি। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থও ইউনিয়ন পরিষদে নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ছাড়া খালটির ওপর ব্রিজ নির্মাণ সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান. খালটির ওপর ব্রিজ নির্মানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ওই খালের উপর একটি ব্রিজ বা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।