Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পথে ভুটান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:৪৩ পিএম

পার্বত্য রাষ্ট্র ভুটানের ক্ষমতা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বিদায় নিশ্চিতভাবে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তনের সূচনা করবে। তৃতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ড. লোতে শেরিং এর নেতৃত্বাধিন দ্রুক নিয়ামরুপ শোগপা (ডিএনটি)’র কাছে হেরে গিয়ে ক্ষমতাসীন পিপলস ডেমক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) বিদায় নিয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তোবগে।
১৫ সেপ্টেম্বর চার দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থান লাভ করে ক্ষমতাসীন দল। ফলে আইন অনুযায়ী আপাতত রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে দলটিকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
ভুটানের চারটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের একটি ডিএনটি। দলটি ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রথম অংশ নেয় এবং ৩৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। ইভিএম ভোটে চারটি দলের মধ্যে পিডিপি সবচেয়ে বেশি ভোট পায়। কিন্তু পোস্টাল ব্যালটের ভোটে বিপর্যয়ের কারণে দলটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে। সরকারি চাকুরে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, প্রবাসী নাগরিক এবং বেসরকারি, করপোরেট ও এনজিও কর্মী ও তাদের ডিপেনডেন্ট এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য পোস্টাল ব্যালট সুবিধা রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক রাউন্ডে অংশ নেয়া চারটি রাজনৈতিক দলের বাকি দুটি হলো দ্রুক ফুয়েনসাম শোগপা (ডিপিটি) ও ভুটান কুয়েনিয়াম পার্টি।
নতুন দল হিসেবে ডিএনটি সর্বোচ্চ ৯২,৭২২ ভোট পায়। তার পরের দলগুলো রয়েছে ডিপিটি ৯০,০২০, পিডিপি ৭৯,৮৮৩ বিকেপি ২৮,৪৭৩ ভোট। ১০৮,৫৮০ পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে ডিএনটি পায় সর্বোচ্চ ৩৭,৫৫৬ ভোট। এছাড়া ডিপিটি ৩৬,৯১২, পিডিপি ২৩,৭০৩ ও বিকেপি ১০,৪০৯ ভোট পায়।
৪৩৮,৬৬৩ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ২৯১,০৯৮ জন ভোট দেয়। এর মধ্যে ১৮২,৫১৮ ভোট ইভিএম-এর মাধ্যমে এবং ১০৮,৫৮০ ভোট পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেয়া হয়। এবার সেবচেয়ে বেশি ভোট দেন নারীরা, ১৪৭,০৭০ জন। পুরুষ ভোট দেন ১৪৪,০২৮ জন।
১৮ অক্টোবর চূড়ান্ত বা সাধারণ রাউন্ডের ভোটে অংশ নেবে ডিএনটি ও ডিপিটি। যে জয়ী হবে সে সরকারি দল আর পরাজিতরা বিরোধী দলের আসনে বসবে।
ক্ষমতায় গেলে ডিএনটি’র প্রেসিডেন্ট লোতে শেরিং দারিদ্র বিমোচন ও ধনী-দরিদ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের লক্ষ্যে তিনি জনগণকে বিনামূল্যে, ন্যায্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা দিবেন বলেও জানিয়েছেন।
বর্তমান বিরোধী দল ডিপিটি প্রেসিডেন্ট পেমা গিয়ামতসো ও তার দল ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের কথা বলছে। দলটি ভুটানের কৃষ্টি ও পর্যটন খাতের উন্নয়ন, নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিরও কথা বলছে। সূত্রঃ এপিএন নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুটান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ