পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যরকম এক দৃশ্য। বন্ধ ঘরের বদলে হঠাৎ মুক্ত মাঠে জনসভা করার প্রেরণা, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়। এরই মধ্যে ৭ দফা দাবি, ১২ লক্ষ্য ও ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণা দিয়েই ৭ দফা দাবি আদায়ে ৩ অক্টোবর ৬৪ জেলায় সমাবেশ ও ৪ অক্টোবর প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করার কথা বলেন। দাবি আদায়ে পর্যায়ক্রমে এই আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে এবং কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে সরকারকে বাধ্য করার প্রত্যয় গ্রহণ করেছেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। গতকাল (রোববার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা শপথ গ্রহণ করেছেন, আন্দোলনের বিকল্প এখন কিছু নেই। আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না, এই সরকারের পতন হবে না। তাই অক্টোবর মাস থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশের পর বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে নতুন নতুন মামলা। গ্রেফতারের খোঁজে পুলিশ তাদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। পুরনো ও নতুন মামলায় গ্রেফতার আতঙ্ক সকলকে তাড়া করছে। গ্রেফতার হওয়ার ভয়, প্রচন্ড রোদ, তীব্র গরম, পথে পথে বাধা কোন কিছুই আটকাতে পারেনি সোহরাওয়াদী উদ্যানের জন স্রোত। আশ্বিনের ৩৪ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় যেখানে ঘরে বসে থাকা দায় সেখানে লাখো নেতাকর্মী সেই গরম আর তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে ছুটে এসেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাতে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করার পর রাজধানীতে এটি বিএনপির দ্বিতীয় সমাবেশ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম জনসভা। বিগত দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সকল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এবারই প্রথম তাকে ছাড়া সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা করলো বিএনপি। যেখানে নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অতিক্রম করেছে অতীতের সব সমাবেশের রেকর্ডকে।
কারাগারে থাকায় খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন না তা জানা ছিল। তারপরও তাকে সমাবেশের প্রধান অতিথি করা হয়, রাখা হয় তার জন্য নির্দিষ্ট আসন। তারেক রহমান বিদেশে থাকায় উপস্থিত থাকারও কোন সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু তার পরও জনসভায় দলে দলে ছুটে আসেন বিএনপি নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও উৎসুক জনতা। উদ্দেশ্য একটাই বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি করার দাবিতে বিএনপির আন্দোলনে অংশগ্রহণ। ঘোষণা অনুযায়ি দুপুর ২টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলো থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। মঞ্চকে ঘিরে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। ১২টার পর গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য। আর সমাবেশ আনুষ্ঠানিক শুরুর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে, বাইরে সমাবেশ স্থল হয়ে উঠে জনসমুদ্র। উদ্যানের ভেতরে ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, মৎসভবন, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ সড়ক ছিল সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের দখলে। প্রচন্ড গরম থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো একই রকম উপস্থিতি ছিল রমনা পার্কের ভেতরে।
তখনও খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভামুখী ছিল ঢাকা ও এর আশাপাশের জেলার নেতাকর্মীরা। হাতে হাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড আর মুখে মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে দিতে তারা সমাবেশে উপস্থিত জনতার সাথে মিলে যান। নেতাকর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই,’ ‘আমরা নেত্রী, আমার মা, বন্দি থাকতে দেবো না’, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশ’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। বেলা ২টায় কুরআন তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জনসভা। এর আগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সভামঞ্চে দেশাত্মবোধক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাস শিল্পীরা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যের শুরুতেই অত্যন্ত আবেগ তাড়িত কণ্ঠে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা এর আগে কখনো কোন জনসভা করিনি। এটি আমাদের হৃদয়ে রক্তখড়ন করছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে রয়েছেন। এই অসুস্থতা তাকে পরাজিত করতে পারেনি, দুর্বল করতে পারেনি। তিনি সেখান থেকেই দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে কোন অবস্থা মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন। কিন্তু গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দানব, ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে।
নেতাকর্মীদের জনসভায় আসতে বাধা দেয়া হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পথে বাধা বিপত্তি ছিল, পুলিশ গ্রেফতার করেছে, গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে, ভয় দেখিয়েছে বাসায় থাকতে পারেন না। তার মধ্যেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, নেত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য, তারেক রহমানকে দেশে আনার জন্য সব কিছু উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দীতে উপস্থিত হয়েছেন।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার দেশ, জাতি এবং সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণকে তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে গ্রেফতার, নির্যাতন, হামলা, গুম করছে। গত এক মাসেই গায়েবি মামলায় ৪ হাজার ৯৪টি মামলা, ৪ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেফতার এবং দুই লাখ ৭২ হাজার ৭৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। যে মামলার কোন অস্তিত্ব নাই, সম্পূর্ণ ভৌতিক মামলা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশ একবারও চিন্তা করছেন না, পট পরিবর্তন হলে, এই সব মামলা যদি ভবিষ্যতে তদন্ত করা হয় এবং দেখা যাবে এর কোন ভিত্তি নেই, সব বানোয়াট। তখন সকলকেই জবাবদিহি করতে হবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই সরকার কোথাও রেহাই পাবে না। যেভাবে তারা চুরি, লুট করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কয়লাকে ধুলা বানিয়ে দিয়েছে, সোনাকে তামা বানিয়েছে, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। তাও এদের আশ মেটে না। ৫ বছর, ১০ বছর করলো এখন আরও করতে চায়। তাই আমাদেরকে দেশ এবং জনগণকে রক্ষা করতে, স্বাধীনতার চেতনা গড়ে তুলতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাট চলছে অভিযোগ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা কর ও চাঁদা দিতে দিতে অস্থির হয়ে গেছে। এই করের টাকা লুটপাট করছে। পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ১০ হাজারের জায়গায় ২০ হাজার কোটি টাকা, প্রত্যেকটা মেগা প্রজেক্টে তিন গুণ, চার গুণ ব্যয় বাড়াচ্ছে। এই টাকা তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে সরকার প্রতারণা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের সাথে প্রতারণা বন্ধ করুন, কোটা সংস্কারের সঠিক পথ দেখান। নিরাপদ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করেছেন, তাদের মুক্তি দিন। নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করুন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে দেশ, গণতন্ত্র, দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য যে ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন সেই ডাকে আজকে সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সকল গণতান্ত্রিক শক্তি, রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টার নোটিশে বিএনপির জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সাহস থাকলে ৭ দিন সময় দিয়ে সমাবেশ করতে দিন। দেখবেন বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ঢাকা শহর অচল হয়ে যাবে। দেশে অরাজকতা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কোন জবাবদিহিতা নাই। সরকার ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। ব্যাংক, সোনা, পাথর, কয়লা সবই লুট করে নিচ্ছে। এজন্য এই সরকারকে আর জনগণ দেখতে চায় না।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া এই সরকারের বিদায় হবে না দাবি করে মোশাররফ বলেন, কারাবন্দি হওয়ার আগে বেগম খালেদা জিয়া যে সব দাবি উত্থাপন করেছিলেন এবং যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন জনগণ তা গ্রহণ করেছে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে আজকে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বেগম জিয়ার দাবিগুলোই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো উত্থাপন করছে।
প্রশাসন ও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মচারী নন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এই সরকার পতিত সরকার, তাদের পতন সুনিশ্চিত। এই সরকারের আর কোন কথা শুনবেন না। না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে।
সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বিএনপি সরকারের সময় বেশি নিরাপত্তা বোধ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত দিনে বিএনপি সরকারের সময় সংখ্যালঘুরা নিরাপদে ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আজকে দেশে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তার শেষ হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে। আইন অনুযায়ি খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু তাকে একটার পর একটা মামলা দিয়ে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। কারণ সরকার জানে খালেদা জিয়া বের হলে এই সরকারের পতন নিশ্চিত হয়ে যাবে। একইভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি দেশে আসলে তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা না চাইলে শেখ হাসিনা সরকার আর একদিনও টিকতে পারবে না। আওয়ামী লীগ জেনে গেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনও হবে না। আবার বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচনও করতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে গেলে সবচেয়ে ভয়। এই ভয়ে তারা ভীত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে যেই আসবে বিএনপি তাদের গ্রহণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াইয়ে বিএনপি ঐক্যের ডাক দিয়েছে। এই ঐক্যের প্রক্রিয়ায় অনেকে বিএনপিকে দূর্বল ভাবছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমাদের আন্তরিকতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। লোক নাই, জন নাই চাপ সৃষ্টি করে অনেকে সুবিধা নিতে চাই। তাদের বলতে চাই জনগণের কাছে ধিকৃত হবেন না।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অতীতেও আওয়ামী লীগ বাকশাল করে টিকতে পারেনি। আবারও অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে এবারও তারা টিকতে পারবে না। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আজকে এই সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সময় এসেছে আওয়ামী লীগকে এক ঘরে করে দেয়ার।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজপথ দখলে নিতে পারলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং বেগম খালেদা জিয়া আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
মির্জা ফরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস। ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, এড. জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, এড. ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী। যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মাহবুবুর রহমান শামীম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস আক্তার জাহান, শামা ওবায়েদ। কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, সাদেক খান, আনোয়ার হোসেন, রাজিব আহসান প্রমুখ। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল বিএনপি। ওই সভায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দিয়েছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।