পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইংল্যান্ডে নিঃসন্দেহে সন্তানের নাম রাখার তালিকায় এখন বাবা-মার সবচেয়ে বেশী পছন্দের নাম ‘মুহাম্মদ’। যদিও বিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (ওএনএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডে সবচেয়ে জনপিয় নাম অলিভার। ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে পরের টানা চার বছর ধরে সবচেয়ে বেশি রাখা নামের শীর্ষে রয়েছে এ নামটি। কিন্তু নামের বানানের বিষয়টি বিবেচনা করলে এই পরিসংখ্যান বদলে যেত। মুহাম্মদ নাম থাকতো তালিকার শীর্ষে।
২০১৭ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সে বছর ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া শিশুদের নামের তালিকার শীর্ষে ছিল অলিভার। ৬২৯৫ জনের নাম রাখা হয় অলিভার। নামের তালিকার ১০ নম্বরে ছিল মুহাম্মদ। ৩৬৯১ টি শিশুর নাম রাখা হয় মুহাম্মদ। কিন্তু ইংরেজিতে মুহাম্মদ নামের বানান করা হয়েছে ১৪ ভাবে, মুহাম্মদ, মহম্মদ, মোহামেদ, মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইত্যাদি। ফলে এই একই নাম বানানের কারণে সরকারি তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নাম হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
হিসাব করে দেখা গেছে একভাবে যদি এই নামের বানানটি লেখা হতো কিংবা ভিন্ন ভিন্ন বানানে না ধরে উচ্চারণ হিসেবে ধরা হতো তাহলে মুহাম্মদ নাম রাখা শিশুর সংখ্যা হতো ৭,৩০৭। অর্থাৎ সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম অলিভারের চাইতেও সেখানে এক হাজারেরও বেশি শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুহাম্মদ। দেখা যাচ্ছে, তালিকায় শীর্ষে না থাকলেও বাস্তবে সন্তানের জন্যে বাবা-মার সবচেয়ে পছন্দের নাম ‘মুহাম্মদ’।
মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম ‘সোফিয়া’ হলেও শধুমাত্র বানানের কারণে তালিকায় শীর্ষে ‘অ্যামেলিয়া’। তালিকায় ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি মেয়ে শিশুর নাম রাখা হয়, অ্যামেলিয়া। কিন্তু সোফিয়া নামটির ইংরেজি বানান ভিন্ন ভিন্নভাবে না লেখা হলে সোফিয়া নামটি থাকতো শীর্ষে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।