পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছেন আমরা তাতে সংহতি ও একাত্মতা পোষণ করছি। ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের সাথে অন্যান্য যে ভিসিরা পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছেন তাঁরাও পদত্যাগ করুক, তাঁদের ইচ্ছার বাস্তবায়ন হোক। গতকাল বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে শাহজালালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, যে সমস্যা সমাধানের দাবিতে শাহজালালের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেছিল, তেমন সমস্যা দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। এ সমস্যা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিংয়ের খাবার খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যে পুষ্টি পায় তার মান ‘চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে’। এসময় তিনি ইউজিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা কতটা শিক্ষার পক্ষে ও কতটা শিক্ষার বিপক্ষে কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানান।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সাঈদ ফেরদৌস বলেন, একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ঢুকলে ভিসিরা কঠোর হাতে তা নিষেধ করতো। এখন ভিসিরা নিজেদের রক্ষা করতে পুলিশ এবং সরকারের পেটোয়া বাহিনী ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে। এতকিছুর পরও শাবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন জারি রাখতে পেরেছে এটাই সফলতা। দর্শন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ফরিদ উদ্দিন আহমেদের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান, গবেষণা কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের করা যায় সে ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীকে কখনও কিছু বলতে শোনা যায়নি। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরতন্ত্র, দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি চলছে। সে ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ নেননি। কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মাহমুদুল হাসান ও প্রফেসর মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর জীবন খন্দকার, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।