Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

পুকুরে চাষ হচ্ছে দেশি বিলুপ্তপ্রায় মাছ

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মৎস্যভাণ্ডার বলে পরিচিত পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি ও সান্তাহারের খাল-বিল, নদী, হাওর ডোবা থেকে বিলুপ্তি হওয়া ভেদা (নুনা) মাছ এখন পুকুরে চাষ করে এলাকার মৎস্যচাষীরা সফলতা পেতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সস্টিটিউট সান্তাহার প্লাবণভূমি উপকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তার তত্ত¡াবধানে আদমদীঘি এলাকার প্রত্যন্ত এলাকার পুকুর ও ডোবায় কৃত্রিম পদ্ধতিতে বিলুপ্তি প্রায় ভেদা (ননা) মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে। সান্তাহার প্লাবনভূমির উপকেন্দ্রে প্রধান ড. ডেভিড রিন্টু দাসের ব্যাক্তি উদ্যোগে দীর্ঘ প্রচেষ্টা করে রেণুু পোনা উৎপাদন শুরু করেন। পরে স্থানীয় চাষীদের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষামূলক পুকুর ও ডোবায় এর চাষ শুরু করা হয়। দিন দিন এর চাহিদা বাড়তে থাকায় খাল,বিল ও নদী থেকে বিলুপ্তি হওয়া এই ভেদা (নুনা) মাছ স্থানীয় মৎস্য চাষীরা পুকুর ও ডোবায় চাষ শুরু করেছেন।
মৎস্য গবেষণা ইন্সস্টিটিউট সান্তাহার প্লাবণভুমি উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকাতা ড. ডেভিট রিন্ট দাস বলেন আমি নিজের উদ্যোগে বিলুপ্তি হওয়া ভেদা (নুনার) মা মাছ ফরিদপুর থেকে এনে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে রেণুু উৎপাদনে সফল হয়েছি। বর্তমানে স্থানীয় মৎস্যচাষীদের এই রেণুু মাছগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তাদের মাঝে এই মাছ চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার কুন্ডু বলেন, আদমদীঘি উপজেলা সদর,সান্তাহর পৌর এলাকা ও এর আশ পাশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাটি এবং পানি বিদেশী এবং দেশী প্রজাতি মাছ চাষে উপযোগী। মৎস্যচাষীরা এখন পুকুরে মাগুর, কানুছ, পবা, পুটি ট্যাংড়া মাছ চাষ করছে। এসব পাশাপাশি বর্তমান বিলুপ্তি হওয়া ভেদা (নুনা) মাছ চাষ শুরু করেছে । অল্প সময়ের মধ্যে এই মাছ স্থানীয় হাট বাজারে সহজে পাওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছ

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ