মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের নলহাটি থানার বানিওড় এ কে হাইস্কুলে। সকাল থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অফিস ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা।
পড়ুয়াদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন অভিভাবকরাও৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে হয় পুলিশকে৷ কিন্তু তাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে স্কুলে ভাঙচুর চালায় ছাত্রছাত্রীরা৷ পরে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আশিস কুমার মণ্ডল বেশ কিছু দিন থেকে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি করতেন৷ দিন দুয়েক আগে ফের স্কুলের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গেও শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী বিষয়টি বাড়িতে জানায়। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষককে অফিস ঘরে ঢুকিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন অভিভাবকরা। উত্তেজনা চরমে উঠলে স্কুলে যায় নলহাটি থানার পুলিশ।
পুলিশ শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় পড়ুয়ারা৷ স্কুলে ভাঙচুর চালায় তারা। এমনটাই অভিযোগ৷ ইটপাটকেল ছুঁড়ে স্কুলের কম্পিউটার আসবাব পত্র ভেঙে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় অফিস ঘরের জানালা দরজা, আলমারি। দুপুরের দিকে স্কুলে যান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়। তিনি আন্দোলনকারী এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে আলোচনায় বসেন। এরপরেই পুলিশ প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
স্কুলের জনৈক এক শিক্ষিকার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক এর আগে অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির মেয়েদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতেন৷ কিন্তু ওই সমস্ত ছাত্রীরা আগে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষকের নামে অভিযোগ এনেছেন। সহকারি শিক্ষিকা দৃতি দাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধান শিক্ষক জীবন বিজ্ঞানের ক্লাসে শুধুমাত্র হরমোন আর জনন নিয়ে আলোচনা করেন। ক্লাস নেওয়ার সময় মেয়েদের গায়ে হাত দেন। উনার স্বভাব ভালো নয়”।
স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুকুন্যা মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক ক্লাসেই মেয়েদের শরীরে হাত দেন। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ওড়না খুলে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়েছিলেন। আমরা শিক্ষকের বদলি চাই”। স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক অশোক রায় বলেন, “দীর্ঘ দিন থেকেই প্রধান শিক্ষক এই কাণ্ড করে আসছিল। এদিন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আমরা ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ডেকে এনিয়ে ব্যবস্থা নেব”।
যদিও প্রধান শিক্ষক আশিস কুমার মণ্ডল বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন প্রথম ক্লাস হওয়ার পর বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কিছু বহিরাগত। তাদের সঙ্গে কিছু ছাত্র ছিল। শক্তহাতে স্কুলের হাল ধরাতেই আমাকে ফাঁসানো হল”।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।