পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক আইনজীবীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে আইনজীবী রিগান আচার্য মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন- পটিয়া থানার এসআই খোরশেদ, এএসআই খাজু মিয়া, এএসআই মো. মাসুম, এএসআই মো. বশির এবং কন্সটেবল মো. হুমায়ুন।
১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ওই আইনজীবীকে রাস্তা থেকে আটক করে সাড়ে আট হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের দাবি, ওই আইনজীবীকে আটক করা হয়নি, তাকে মাতাল অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী মানস দাশ বলেন, জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও ঘুষ দাবির অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ আদালত গ্রহণ করে সেটি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী রিগান আচার্য বলেন, ওই দিন রাতে ধলঘাটের শ্বশুরবাড়ি থেকে নগরীর বাকলিয়ায় ফেরার পথে ধলঘাট বাজারে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। একটি লেগুনা দেখতে পেয়ে থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে সেখান থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নেমে আসেন। একা পেয়ে তারা তাকে আটকে জোরপূর্বক পকেটে থাকা সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর টানাহেঁচড়া করে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। গাড়িতে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য ছিল, তাদের মধ্যে ৩-৪ জন ছিল পোশাক ছাড়া। থানায় নেওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ একলাখ টাকা ঘুষ দাবি করে বলেও অভিযোগ তার। আইনজীবী সমিতির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরদিন দুপুরে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি ।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, মাতাল অবস্থায় সড়কে পাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছিল। তাকে যে সেই রাতে ‘ওয়াশ’ করানো হয় তার ডাক্তারি সনদ আছে। আইনজীবী সমিতির নেতারা ফোন করার পর তার সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে কোনো মামলা করা হয়নি। মুচলেকা দিয়ে তিনি থানা থেকে সেদিন বাসায় গিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।