২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বার্নিং মাউথ সিনড্রোম হল একটি ব্যথাযুক্ত হতাশজনক অবস্থা যার কারণে জিহ্বা, ঠোঁট, তালু অথবা পুরো মুখেই জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হতে পারে। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই এই বার্নিং মাউথ সিনড্রোম হতে পারে। তবে বিশেষত মেয়েদের মেনোপজের সময় বা মেনোপজের পরে বার্নিং মাউথ সিনড্রোম বেশি দেখা যায়। এ রোগটি অল্প বয়সেও হতে পারে। বার্নিং মাউথ সিনড্রোম এর লক্ষণসমূহ ঃ * মুখ, ঠোঁট ও জিহ্বার জ্বালাপোড়া অনুভূত হওয়া। * মুখের অভ্যন্তরে পুড়ে যাওয়ার মত অনুভূতি হতে পারে। * শুল্ক মুখ * তিক্ত বা ধাতব স্বাদ * জিহ্বার স্বাদ * জিহ্বার স্বাদ-এ পরিবর্তন * খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন।
যেসব ক্ষেত্রে বার্নিং মাউথ সিনড্রোম হতে পারে সেগুলো হলোঃ * শুল্ক মুখ * ওরাল ক্যান্ডিডোসিস (একটি ফাংগাল সংক্রমণ) * দাঁত কামড়ানো * যে সব ¯স্নায়ু ব্যথা ও স্বাদ নিয়ন্ত্রণ করে তা কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে * কৃত্রিম দাঁত বা ডেনচার ঠিকভাবে স্থাপন করা না হলে * এলার্জিজনিত সমস্যা যেমন কোন রোগীর খাবার বা মেটালিক ডেনচারের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে * এসিড উদগীরণের কারণে * দুঃশ্চিন্তা বা হতাশার কারণে অর্থাৎ যে কোন ধরণের মানসিক সমস্যা।
বার্নিং মাউথ সিনড্রোম এর রোগীদের যা করা প্রয়োজন- * অল্প অল্প করে প্রচুর পানি পান করতে হবে * গলায় কোন সমস্যা না থাকলে বরফ কুচি চোষা যেতে পারে পরিমিতভাবে * গরম ও মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণে বিরত থাকতে হবে * চিনিবিহীন চুয়িংগাম চোষা যেতে পারে। * এ্যালকোহল এবং ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে * উচ্চ রক্তচাপ যদি থাকে তাহলে এর ওষুধে পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। তবে মুখ ও জিহ্বায় জ্বালাপোড়া দেখা দিলে এবং তা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে অতি দ্রুত এ বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন মুখ রোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।