বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৫৬ কোটি টাকায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তা থেকে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার চার লেন রাস্তা ও দুটি সেতুতে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিস্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং না করায় কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছেন নিয়ম মেনেই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাফাই গাইছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে।
জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে ও শহরের যানজট এড়াতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও সড়ক জনপদের লোকজন এক হয়ে কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে আসছে। সেতুর আশপাশে বাঁধ নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে মাটি যুক্ত পাথর। রাস্তায় প্রশস্তকরণে চালুর সাথে ইটের খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ময়লাযুক্ত মাটি। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাভবান হলেও কাজের মান খারাপ হচ্ছে। তবুও দেখার যেন কেউ নেই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মুকিত জানান, আমি এবং আমার কোন লোক অনিয়মের সাথে জড়িত নই। সচ্ছভাবে যেন কাজ হয় তা প্রতিদিনই বুঝিয়ে নিচ্ছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে।
আর ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে চার লেন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে ১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে সিপিসিএল নামে ঢাকাস্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ সম্পর্ন করবেন। আর অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, সড়ক জনপদ বিভাগের কোন লোক নদী থেকে বালু তুলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে কি না তা আমার জানা নেই। সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। অনিয়ম হলে তা আমরা খতিয়ে দেখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।