মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে তিন পুলিশ সদস্যকে অপহরণ ও হত্যার পর পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাতিল করেছে নয়াদিল্লি। এ ঘটনায় টুইটারে হতাশা প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি। আর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি।
টুইটারে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাতিল হওয়ায় তিনি আশাহত। ভারতের আচরণকে তিনি ‘উদ্ধত ও নেতিবাচক’ আখ্যা দিয়েছেন। খান আরও লিখেছেন, তিনি গোটা জীবনে উঁচু পদে বসে থাকা অনেক নিম্নমেধার লোক দেখেছেন, বৃহত্তর চিত্রটি উপলব্ধি করার মতো দূরদর্শিতা যাদের নেই।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারও নাম উল্লেখ করেননি ঠিকই। কিন্তু তার ইঙ্গিত যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকেই, সে কথা বোঝার জন্য প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডিও পেরনোর প্রয়োজন পড়ে না।
আনন্দবাজার সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই লেখায় বলা হয়েছে, ইমরান খানের এহেন মন্তব্যের পর প্রথম এবং প্রধান যে প্রশ্ন উঠে আসে, তা হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করার মতো স্পর্ধা এবং দুঃসাহস তার হলো কী করে? বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করছেন তিনি— সে কথা কি ভুলে গিয়েছিলেন ইমরান খান? এর পর যে প্রশ্ন আসে, তা হলো, মেধার বিচারটা ইমরান খান করলেন কীসের ভিত্তিতে? ভারতের মতো একটি সুবিশাল দেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন, সেই ব্যক্তিকে নিম্ন মেধাসম্পন্ন আখ্যা দিয়ে ইমরান খান আসলে তো গোটা ভারতেরই অমর্যাদা করলেন।
অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই মহৎ কাজ। দুই দেশের মানুষই শান্তি চান। কিন্তু কেন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেই কোথাও বিস্ফোরণ হয়, কোথাও নাশকতা হয়, কোথাও জঙ্গিহানা হয় বা কোথাও সীমান্তরক্ষায় রত জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়— সে কথা হয়তো আমাদেরই অনেকেরই জানা। কোন শিবির শান্তি চায় না, কারা হিংসা জিইয়ে রাখতে চায়, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। তাই এখানে নতুন করে সে বিতর্কে গিয়ে লাভ নেই। এখানে প্রশ্ন হলো, ইমরান খান নিজে দ্বিপাক্ষিক শান্তিতে কতটা আগ্রহী?
তিনি আরো বলেছেন, যেকোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপই অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। বুদ্ধিমত্তা, সংবেদনশীলতা, ভারসাম্যের বোধ ইত্যাদির সমন্বয়ে পদক্ষেপ করতে হয়। ইতিবাচক ফলের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপকে সৌজন্যের মোড়কে পেশ করতে হয়। পরিণাম সব সময়ে আশানুরূপ হয় না। কিন্তু তার জন্য হতাশাও ব্যক্ত করতে হয় অত্যন্ত সংযত শব্দে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উল্টোটা করলেন। এতে ভারত-পাক কূটনীতির রাস্তা আরও কণ্টকাকীর্ণ হল, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। সূত্রঃ আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।