Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা মধুখালীতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৬ বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আটক ৮

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মধুখালী (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি বাগাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মতিয়ার রহমান খানের বড় ভাই আতিয়ার রহমান খান (৫৫)। একপর্যায়ে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এর পর ঘটনাস্থলে র‌্যাব, বিজিবি মোতায়েন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানান, নির্বাচনী প্রচার কালে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকিরের ছোট ভাই ইউনুস ফকিরের নেতৃত্বে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থকেরা এক হয়ে যৌথভাবে আওয়ামীগ সর্মথকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে অতিয়ার রহমানসহ ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের দ্রুত মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার নিমাই দাস আতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের মধ্যে মিঠুন দে (২২), বাবলু শেখ (৩২), রেজাউল করিম খান বাকা (৫০), শাহাদত হোসেন লাল (৫০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। নাজমুল (২৯) সোহেল (২৭) এবং ইমন (১৯) মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকিরসহ ৭/৮ জনকে গভীর রাতে পুলিশ আটক করেছেন। মধুখালী থানা ইন-চার্জ মো. রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ফরিদপুরের পুলিশ লাইনের ১ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার রাতেই আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেন পুলিশী বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এ দিকে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতা বাসুদেব দাসের মালিকানা একটি ঘরে ভাড়াটিয়ার বিএনপির একজন সমর্থক সাইদ সেখের দোকান ঘর ও বিএনপিধানের শীষের অফিস ঘরটি পুড়িয়ে দেয়। এতে ঘরে থাকা ৪টি মোটরসাইকেল, পাট, ধান ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ঘরটি বিদুতের শর্টসার্কিটে আগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সারা রাত সংঘর্ষের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। বর্তমানে এলাকা শান্ত থাকলেও এলাকার মানুষের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল রোববার ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি নি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ