Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা অপরিবর্তিত

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

প্রধান কয়েকটি নদ-নদীর পানি হ্রাস-বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গতকাল (বুধবার) পাউবো জানায়, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দেশের তিনটি নদ-নদী ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এরমধ্যে যমুনা নদ ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি ও কাজিপুরে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে রয়েছে। যমুনা সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে আছে। ব্রহ্মপুত্র নদ চিলমারীতে মাত্র ১৮ সেমি: নিচে অবস্থান করছে। যমুনায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা কমতির দিকে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইলের এলাসিন ঘাটে ধলেশ্বরী নদী এবং বাঘাবাড়িতে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ঊর্ধ্বে রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি ভাটির দিকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গোয়ালন্দে মাত্র এক সেমি: নিচে অবস্থান করছিল। ভাগ্যকুল ও সুরেশ্বর পয়েন্টেও বেড়ে গেছে পদ্মার পানি। সেই সাথে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে উজানে গঙ্গার পানি এখন কমতির দিকে রয়েছে।
গতকাল পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং পদ্মা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের নদ-নদীর ৯৪টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩০টি পয়েন্টে বৃদ্ধি ও ৫৬টিতে হ্রাস পায়। বিপদসীমায় ছিল ৬টি স্থানে। গত মঙ্গলবার ৩৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায়।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ও ধুনটে বন্যা
বগুড়া ব্যুরো জানায়, উজানে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বগুড়ার পুর্বাঞ্চলের সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় নতুন নতুন এলাকায পানি ঢুঁকতে শুরু করেছে। ফসলী জমিতে পানি ওঠায় ফসলহানীর আতঙ্কে রয়েছে কৃষক।
সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল চন্দনবাইশা, কুর্ণিবাড়ী কাজলা, চালুয়াবাড়ী, হাটশেরপুর ইউনিয়ের নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছে। এছাড়া ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৫টি গ্রামেও পানি উঠেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। পানি নেমে গেলে পূর্ণবাসনেরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপপরিচালক প্রতুল চন্দ্র জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমির পরিসংখ্যানের কাজ শরু হয়েছে এ পর্যন্ত ৮শ হেক্টর জমির কাঁচা মরিচ এবং সবজী ক্ষেতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানও বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকেলে এই রিপোর্ট লেখার সময় জানিয়েছে , ৪দিন ধরে লাগাতার পানি বৃদ্ধির পর এখন পানি বিপদসীমার ১৬ দশমিক ৭০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা’ স্থির রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ