পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে গৃহপালিত বিরোধী দলের (জাপা) চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি আর কোন দলের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হবে না। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলকে আরো সংগঠিত করতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি করতে হবে। শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, কেউ ভোট ডাকাতি করতে চাইলে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন সিটি’র এক্সপো জোনে আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামল না এলে বাংলাদেশ অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকতো। বৃটিশ বা পাকিস্তান আমলের অবস্থাতেই থেকে যেতো বাংলাদেশ। আমরা উন্নয়ণ করেছি, আমরা লুট-পাট করিনি। আমাদের দেশ পরিচালনায় খুন, গুম, সন্ত্রাস ছিলো না। আমরা মানুষ খুন করিনি, আমাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। তাই দেশের মানুষ আমাদের ভালোবাসে। মানুষ আবারো জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, আগামী নির্বাচনে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রচারনায় আমরা সাধারন মানুষের কাছে যাবো। নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করবো। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সাধারন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করবো, মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো আমরাই। ’৯০ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেবার পর থেকে অমানষিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমার মত নির্যাতিত নেতা আর কেউ নেই। এত নির্যাতনের পরও শুধু আল্লাহর রহমত আর মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছি। মানুষ আমাদের ভুলে যায়নি, আমরা ক্ষমতায় যেতে এখন প্রস্তুত।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ৫০৮৮টি এবং আওয়ামী লীগ ৬০০০ মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু আমার নামের মামলাগুলো এখনো আছে। কারণ, জাতীয় পার্টিকে সবাই ভয় পায়, সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী অবস্থান আছে। আমি নিশ্চিত এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি মানুষের ভালোবাসায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।
নির্বাচনের তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রচারণা ও পর্যালোচনা বিষয়ক এই কর্মশালায় বক্তৃতা করেন পার্টি কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, আজম খান, চেয়ারম্যানের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা শফিউল্লাাহ আল মুনির প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এড. সালমা ইসলাম এমপি, এড. সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন, সৈয়দ আবদুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা প্রমূখ। কর্মশালায় সারাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।