Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ বছর অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা পশ্চিম রাজীবপুর খড়িয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা খাতুন ছুটি ছাড়া একাধারে ৪ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা উত্তোলণসহ সকল প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খড়িয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা খাতুন তার পূর্বের স্বামী খায়রুল ইসলামের সংসার করাকালীন পরকীয়ার টানে গত ২০১৪ সালে অন্যের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এ কারণে মোর্শেদা ৫ এপ্রিল ২০১৪ হতে ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত কোন প্রকার ছুটি ছাড়াই একাধারে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় পর্যায়ে গেজেট ভুক্ত হওয়ায় পুনরায় ফ্রেবুয়ারি/১৮ এর মাঝামাঝি সময় থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে থাকেন। বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে মোর্শেদা ছাড়া ৩ জন শিক্ষক সরকারি বিধি মোতাবেক বেতন/ভাতা উত্তোলণ করে আসছেন। অপরদিকে ছুটি ছাড়াই ৪ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা খাতুনের বিল শীটে স্বাক্ষর না করলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-অর-রশিদ রহস্য জনক কারণে উক্ত শিক্ষকের বিল প্রদান করেন। এ নিয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, যেহেতু শিক্ষক মোর্শেদা খাতুনের ৪ বছরের অনুপস্থিতির রিপোর্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে দিয়েছি তাই ওই শিক্ষকের বিলে কোন প্রত্যয়ন দেয়নি। উনি কিভাবে বেতন উত্তোলন করেছেন তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বিল প্রদানের কথা স্বীকার করে জানান, প্রধান শিক্ষক প্রতিহিংসা মুলক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দেয়ায় তাকে অহেতুক অনুপস্থিত দেখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ছাড়াই বিল প্রদান করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ