বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান ব্যবসা বাণিজ্য নগরী চৌমুহনীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র স্থানীয় এমপি মামুনুর রশিদ কিরন গ্রুপের সাথে চৌমুহনী পৌরসভা মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০/২৫জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এমপি মামুনুর রশিদ কিরন গ্রুপ চৌমুহনী পাবলিক হলে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করলে মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল গ্রুপ সভাস্থলে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ পুরো চৌমুহনী বাজার ও আশপাশ এলাকা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ফাঁকা গুলবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে পুরো এলাকায় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত শাহিনের নেতৃত্বে বিপূল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেও পরিস্থিতি শান্ত করতে পারেনি ।
এসময় চৌমুহনী কাচারীবাড়ি, বড়পূল, মোরশেদ প্লাজাসহ পুরো চৌমুহনী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল ।
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জের সেতুভাঙ্গা এলাকায় মামুনুর রশিদ কিরন গ্রুপের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা খালেক কসাইকে যশোরের একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও চাাঁদাবাজি মামলায় কেগমগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে খালেকের সমর্থকরা সেতুভাঙ্গা এলাকা অবরোধ করে। পরে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খালেক কসাইকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উভয় গ্রুপ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। যে কোন সময় পুনরায় ভয়াবহ সংঘর্ষে আশংকা করছে এলাকাবাসী। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।