পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর নগরের সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি পার্শ্ববর্তী যতরপুরে সভাপতির বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের দাবি হামলায় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন এবং পুলিশ টহলে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। তবে বিএনপি বলছে কোনো কারণ ছাড়া পুলিশ নাটক সাজিয়ে বাসায় গুলি করে ৫/৬ জন মেহমানকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে, এলাকার বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দে আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষে বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরীর বাসায় একদল পুলিশ ঢুকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
কী কারণে এ কথা কাটাকাটি জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যার দিকে যতরপুর এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের বাসার সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নাশকতার লক্ষে জড়ো হয়। এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই বাসার সামনে গেল পুলিশ সরকারের গুন্ডা বাহিনী, পুলিশ এখানে কেন, বলেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় ও হামলাকারীরা পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা (সিলেট থ ১২-৭১৬৬) ভাঙচুর করে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ এসআই কামাল বলেন, ২০ থেকে ২৫ জন যুবক বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ফাঁড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একজন ‘সরকার দলের গোলাম’ বলে পুলিশকে গালি দেন। গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে যুবকেরা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা (নম্বর সিলেট থ ১২-৭১৬৬) ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে ফাঁড়ি ইনচার্জ জানান।
তবে আবুল কাহের চৌধুরীর বাসার তত্ত্বাবধায়ক জানান, পুলিশের ওপর হামলা কারা করেছিল, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার বাসার মালিক (বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরী) পরিবারসহ এক মাস ধরে বাসায় থাকছেন না। এ জন্য বাসাটি খালি পড়ে আছে। তিনি দাবি করেন, মাগরিবের নামাজের জন্য বাসার বাইরে গিয়ে গুলির শব্দ শুনে ফিরে দেখেন ভেতরে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম বলেন, বিএনপির রাজনীতি করি বলেই পুলিশ আমার বাসায় অহেতুক অভিযান চালিয়ে ফাঁকা গুঁলি ছোড়ে। এসময় পুলিশ আমার বাসায় দেখা করতে আসা কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নাটক সাজিয়ে সবকিছু করেই যাচ্ছে। আমার বাসার সামনে পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই পুলিশ এমন নাটক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।