পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাসফিয়া আমিন খুন হয়নি। তাকে ধর্ষণও করা হয়নি। সে বিষপানও করেনি। তার মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। আর এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলেছে পুলিশ। কথিত প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তাসফিয়ার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। তবে কেন আত্মহত্যা, কারণও অজানা। সাড়ে চার মাস তদন্ত শেষে গতকাল (রোববার) আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে ডিবি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যেহেতু আত্মহত্যা সেহেতু অভিযুক্ত ছয় আসামিদের অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে ফাইনাল রিপোর্টে।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, তদন্তে আত্মহত্যার নিশ্চিত কোনো তথ্য পাইনি। তবে প্রাথমিক যে তথ্য সেটা হচ্ছে, তাসফিয়ার সঙ্গে তার বন্ধু আদনান মির্জার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেটা তাসফিয়ার পরিবার জেনে গিয়েছিল। তাকে মারধর করা হয়েছিল। সেজন্য আদনানের সঙ্গে শেষ দেখা করে তাসফিয়া আত্মহত্যা করতে পতেঙ্গায় চলে যেতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষায় হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে তাসফিয়ার ফুসফুসে পানির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে তার পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ছয়জনসহ ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দী, ভিসেরা ও ডিএনএ রিপোর্ট এবং নানা আলামত বিশ্লেষণ করে এমন প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন পহেলা মে রাতে প্রত্যক্ষদর্শী এক কাঁকড়া বিক্রেতা তাসফিয়া আমিনকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর নেভাল জেটিতে বসে থাকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর তাসফিয়া হেঁটে সমুদ্রের পাড় থেকে সৈকতে নেমে যায়। এরপর পানিতে কোনকিছু পড়ার শব্দ শোনেন ওই কাঁকড়া বিক্রেতা। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে দেখেন, জোয়ারের পানি সাগরের পাড় পর্যন্ত উঠে গেছে। অর্থাৎ তাসফিয়া পানিতে ডুবে গেছে। পরদিন সকালে সৈকতে বড় বড় পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পানিতে ডুবে তাসফিয়া মারা গেছে। সে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হলেও সে কি পানিতে নিজে ডুবেছে নাকি অন্য কেউ ডুবিয়েছে এসব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী তাসফিয়া নিজেই পানিতে নেমে গেছে। হেঁটে পানিতে নামার পর মুখমন্ডল থেতলে গিয়ে সে কিভাবে রক্তাক্ত হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। বাসা থেকে যে পোশাকে বের হয়েছে সে পোশাকও তার পরনে ছিল না। তাসফিয়া বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়ে সৈকতে কিভাবে গেল তারও কোন উত্তর নেই প্রতিবেদনে।
পহেলা মে বিকেলে বন্ধু আদনান মির্জার সাথে ও আর নিজাম রোডের বাসা থেকে ঘুরতে বের হয় নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেডুর শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিন।
এদিকে তাসফিয়ার পরিবার ফাইনাল রিপোর্টে দেয়া আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে পারছেন না। ঘটনার পর থেকেই তাসফিয়ার বাবা-মা ও স্বজনরা বলে আসছেন তাকে নির্যাতন শেষে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট দেখে আদালতে নারাজি দেয়াসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাসফিয়ার এক স্বজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।