পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দিয়ে খালেদা জিয়ার উপযুক্ত ও সঠিক চিকিৎসা হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন খালেদা জিয়ার পছন্দমতো এবং সরকারি ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। কিন্তু সরকার দলীয় ডাক্তারদের দিয়ে যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে এতে আমরা হতাশ হয়েছি। এই বোর্ড নিয়ে আমরা অসন্তুষ্ট। এই মেডিকেল বোর্ড দিয়ে খালেদা জিয়ার সঠিক এবং যথাযথ চিকিৎসা হবেনা বলে আমরা বিশ্বাস করি।
গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা এখনো দাবি করছি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যারা করতেন সে সকল চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি বোর্ড করা হোক। সেই বোর্ডের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হোক। কারণ তিনি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ। গত ৯ সেপ্টেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদেরকে কিন্তু ওইদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, আমাদের নেত্রীর দেয়া কিছুসংখ্যক চিকিৎসক যারা তার চিকিৎসা করে থাকেন এবং সরকারের কিছু চিকিৎসক দিয়ে এক সাথে একটি মেডিকেল বোর্ড করবে।
আমরা হতাশ হয়েছি যখন মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তখন দেখা গেলো শুধু সরকারের দেয়া ডাক্তারদের দিয়ে এই বোর্ড করা হয়েছে। আমরা মনে করি, সরকার সমর্থিত চিকিৎসকদের দিয়ে যে বোর্ড করা হয়েছে, সেই বোর্ডের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা হবে না।
তিনি বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ২ বারের বিরোধী দলীয় নেতা, দেশের ২৩টি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনা প্রধানের স্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিউইয়র্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী উৎকণ্ঠিত মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমাদের মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের মন্ত্রী-নেতারা বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করছেন যে, তিনি জাতিসংঘের আমন্ত্রণে যাননি। আসলে সত্য কথা হলো মহাসচিবের এই সফর প্রধানমন্ত্রীকে আঘাত করেছে। তিনি হতাশ, উৎকণ্ঠিত এজন্য তিনি ও তার দলের লোকেরা এসব কথা বলছে।
যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম গঠিত জাতীয় ঐক্যকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন যে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। আজকে সেই দাবি বিএনপি, ২০ দল ছাড়াও অন্য রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠনও জানাচ্ছে। এই দাবিগুলো এখন জাতীয় দাবি ও জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভূয়া ও ভূতুরে মামলার বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, ১ সেপ্টেম্বর ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আজগুবি ও বায়বীয় অভিযোগে ২ হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২০ হাজার নেতাকর্মী এবং এর সাথে লক্ষাধিক অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন হাজার নেতাকর্মীকে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ পোষাক পড়ে কিংবা সাদা পোষাকে হানা দিচ্ছে এ থেকে বাদ যাচ্ছেন না সিনিয়র নেতারাও।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।