Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আবারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে দায়ী করলেন সু চি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:১১ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় আবারও বাংলাদেশকে দায়ী করলেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে সু চি বলেন, ‘যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত, কিন্তু এর সঙ্গে দুই দেশ জড়িত থাকায় বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে।’
দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার হওয়ার পরেও কালক্ষেপণের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সে সময় বাংলাদেশ জানায়, তারা এখনো প্রস্তুত নয়। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর আমরা সমঝোতা স্বাক্ষর করেছিলাম। চুক্তিতে যেহেতু দুই দেশ সম্পর্কিত, তাই কখন প্রত্যাবর্তন শুরু হবে সে বিষয়ে আমরা একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইনে শুধু মুসলমানরাই বাস করে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্বের অনেকে মনে করে। কিন্তু আসলে সেখানে আরো ছোট ছোট গোষ্ঠী আছে। তাদেরকে রক্ষার দায়িত্বও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর। সবার জন্যই আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা শুধু কাউকে বাছাই করে তাদের দেখভাল করতে পারি না।’
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হওয়া এসব রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন। সু চি বরাবরই তার বক্তৃতায় রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় অস্বীকার করেন। রোহিঙ্গা শব্দের বদলে তাদেরকে ‘বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া’ মানুষ আখ্যা দেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও সু চি বাংলাদেশের ওপর দায় চাপিয়েছিলেন। গত ২১ আগস্ট মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের। মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকেই প্রত্যাবাসনকারীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা কেবল সীমান্তে তাদের স্বাগত জানাতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কত দ্রæত তারা পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চায়।’ সূত্র- আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • মাহবুব ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:২১ এএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন বাংলাদেশ নয়,মিয়ানমারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।অনুতপ্ত,ক্ষমা প্রার্থনা,মানবতা,মানবপ্রেম,উগ্র জাতীয়তাবোধ প্রশমনই টেকসই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ।বাংলাদেশ বহু কষ্ট করেছে,ধৈর্য ধরেছে,উদারতা প্রদর্শন করেছে,সর্বোপরি মানবতার চুড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছে ।আমাদের জ্ঞান প্রদান,দোষী না করে,দর্পনে তাকিয়ে পাশবিকতা,ঘৃণা,হত্যাযজ্ঞ অবলোকন করুন ।বিশ্বময় উগ্রতার অনলে ঘৃত না ছিটিয়ে ,ন্যায়বিচার,অহিংস মানবপ্রেম দ্বারা ক্ষত নিরাময় করুন ।না হয় ক্ষত নালীর ভয়াবহ অকল্পনীয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করুন ।
    Total Reply(1) Reply
    • jahir ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:১৩ এএম says : 4
      Great answer vai .

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ