বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারে মরণ নেশা ইয়াবার বিস্তার ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত দুইদিনে কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের তালিকাভূক্ত ৬০ জন ইয়াবা কারবারীর বাড়িতে অভিয়ান চালিয়েছে যৌথ টাস্কফোর্স। তবে এসব বাড়িতে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ফলাফল পায়নি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। ধরা পড়েনি কোন রাঘব বোয়াল।
যেসব বাড়িতে অভিযান
আলোচিত ইয়াবা কারবারীরা হলো আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আনসারী, রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা এবং টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর শাহআলম, সাবরাংয়ের শামসুল আলম মার্কিন ও শাহপুরী গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকার স্বত্তাধিকারী শাহপরীর দ্বীপের আনিসুর রহমান ইয়াহিয়াসহ কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ উপজেলার তালিকাভূক্ত ছোট-বড় ৬০ জন মাদক কারবারী। গত দু›দিনে এদের বাড়িতে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। এরা সবাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় এসকল ইয়াবা কারকারী হিসেবে তাদের নাম রয়েছে বলে জানাগেছে।
টাস্কফোর্সের এই অভিযানে এক হাজার ৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রির নগদ ২৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ৪টি রামদা, ২টি কিরিচ, ১০টি ছোরা ও ২টি দামাসহ ১৮টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তাছাড়াও সাবরাং ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজুর বাড়ি থেকে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকাসহ তার ভাই ফরিদ আহমদকে আটক করা হয়। এতে ইউপি সদস্য রেজু ও ভাই আবদুল মাজেদকে পলাতক আসামি করে মামলাও করা হয়েছে। তাছাড়াও সাবরাং ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজুর বাড়ি থেকে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকাসহ তার ভাই ফরিদ আহমদকে আটক করা হয়। এতে ইউপি সদস্য রেজু ও ভাই আবদুল মাজেদকে পলাতক আসামি করে মামলাও করা হয়েছে।
অন্যদিকে ধারালো অস্ত্রসহ কক্সবাজার শহরতলির লারপাড়ার সায়েরা খাতুনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ছয়মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয় বলে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সোমেন মন্ডল।
সোমেন মন্ডল বলেন, ইয়াবার বিস্তার ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স ও গোয়েন্দা) ড. এএফএম মাসুম রব্বানীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, ব্যাটালিয়ন, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুইদিনে কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফ উপজেলার ছোট-বড় ৬০ জন মাদক কারবারীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এসব অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভাগীয় গোয়েন্দার উপ-পরিচালক একেএম শওকত হোসেন, জেলা পুলিশের সিনিয়র এএসপি সাইফুল ইসলাম ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়য়া ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক নির্মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন, এতে ইয়াবাও ধরা পড়ছে। গত আগস্টে টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১৫ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এতে থানায় ১৬টি মামলা করা হয়েছে। তবে মাদক বিক্রির নগদ এক লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফে মাদক নির্মুলে আগের চেয়েও ২৬ জন জনবল বাড়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন পরির্দশক, ১৩ জন সিপাহী ও ১০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য রয়েছেন। এছাড়ওা একটি গাড়িও বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাদক নির্মূলে নিরলস ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।