পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সাথে
বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের মতবিনিমিয়
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একমত পোষণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যরা। ছাড় দিয়ে হলেও বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের পক্ষে তারা। তবে সেই ছাড় যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে তাদেরকে এই পরামর্শ দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত এই মতবিনিময় সভা হয়। তবে এই মতবিনিময় সভা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একাধিক উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সাথে দলের নীতি-নির্ধারকদের মতবিনিময়কালে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা, আগামী নির্বাচন, ভবিষ্যৎ আন্দোলন, জাতীয় ঐক্য, নেতা-কর্মীদের মামলা ও গ্রেফতারের প্রসঙ্গসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব ইস্যুতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের পরামর্শ-প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সঙ্কট উত্তরণে সরকারের বাইরে থাকা যুক্তফ্রন্ট, গণফোরাম, বাম-ডান সবাইকে এক ছাতার তলে আনতে হবে। জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ছাড় দিয়ে হলেও ঐক্য গঠন করতে হবে। তবে সেই ছাড় হতে হবে অবশ্যই সহনীয় মাত্রায়। এমন কোনো ছাড় দেয়া ঠিক হবে না যেটা বিএনপির জন্য সমস্যার কারণ দাঁড়ায়। উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যরা বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নিয়ে যেসব দলগুলোর সাথে কথা-বার্তা হচ্ছে, তারা বিএনপির কাছে অনেক কিছু চাচ্ছে। তবে তাদের সক্ষমতাটাও আমাদের দেখতে হবে। অর্থাৎ তাদের কতটুকু ছাড় দিলে তারা সেটা বহন করতে পারবে-সেই বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের আমরা সেটা জানিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই বিষয়টিও আমরা দলের নীতি-নির্ধারকদের জানিয়েছি। চেয়ারপারসনের আরেকজন উপদেষ্টা বলেন, ২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রেখে জাতীয় ঐক্য গঠনে দলের নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন। অন্যদিকে, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন-আমানউল্লাহ আমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জয়নুল আবদিন ফারুক, ইসমাঈল জবিউল্লাহ, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।