পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বে-টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে দেশের অর্থনীতি পাল্টে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১-এ উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনের সফল বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু র মোহনা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের হাতে ভূমি মালিকদের জন্য ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, গত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরভিত্তিক অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান। নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে আবার খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার উল্লেখযোগ্য হলো চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সক্ষমতা বেড়েছে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে দেশের অর্থনীতি পাল্টে যাবে।
বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীর সে দাবি পূরণ করেছেন। বে-টার্মিনাল এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে, বে-টার্মিনাল হলে এ সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৯ সাল নাগাদ বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন সেখানে ৫ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং দ্রুত বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছর এ সক্ষমতা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে। এ অবস্থায় বে-টার্মিনাল নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। এটি নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পাবে। জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর না করে নিয়মিতই এ টার্মিনালে জাহাজ ভেড়ানো যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার কারণে বে-টার্মিনাল থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।