Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা নিপীড়নের আলামত সংগ্রহে বিশেষ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা ও নিপীড়নসহ সংঘটিত অপরাধের আলামত সংগ্রহের জন্য নতুন একটি আধা-বিচারিক প্রতিষ্ঠান গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান মিচেল ব্যাচেলেট। গতকাল সোমবার মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। গত ১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মানবাধিকার কাউন্সিলে এটাই তার প্রথম বক্তব্য।
গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। গত মাসে জাতিসংঘ মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে। মিয়ানমার সরকার বারবারই দাবি করে এসেছে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। কোন নিধনযজ্ঞ চালানো হয়নি। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,প্রত্যাখ্যানের মাত্রায় তারা হতবাক। সামরিক অভিযানে কখনোই হত্যা,সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,শিশু নিপীড়ন ও গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
স¤প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মিচেল ব্যাচেলেট। সোমবার প্রথমবারের মতো মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে হামলা ও নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি জানান, কাচিন ও শান রাজ্যেও সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা ইঙ্গিত পেয়েছেন। ব্যাশেলেট বলেন, ‘এসব সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি দায়মুক্তি দেওয়া যায় না।’ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে সম্মতি জানিয়ে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা রুলকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যাচেলেট। দায়মুক্তির অবসান এবং রোহিঙ্গা জনগণের চরম ভোগান্তি মোকাবিলায় একে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মিচেল ব্যাচেলেট বলেন, ‘মিয়ানমারের জন্য স্বতন্ত্রভাবে একটি আন্তর্জাতিক কৌশল প্রতিষ্ঠা, সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের আলামত সংগ্রহ, একত্রীকরণ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে অনুরোধ জানাচ্ছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতগুলোতে স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচার প্রক্রিয়ার প্রবর্তন করতে এমন প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
ব্যাচেলেট আরও বলেন, ‘এ ধরনের কৌশল প্রতিষ্ঠা করতে একটি প্রস্তাব পাসের জন্য এবং তা অনুমোদন করাতে বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য আমি মানবাধিকার পরিষদকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ