পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ শব্দটার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি আর গৃহপালিত বিরোধী দল হতে চায় না। আমরা নিজেরাই ক্ষমতায় যেতে চাই। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিটিউট প্রাঙ্গণে দলের তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
যৌথসভায় রাজধানীর উত্তর দক্ষিণ ও ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে সভা রূপ নেয় জনসভায়। বর্তমান সংসদ সদস্যেদের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই জড়ো হয় অনুষ্ঠান স্থলে।
তৃণমূলের নেতারা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না- এমন অভিযোগ তোলেন। তাদের পরামর্শ সঠিক সিদ্ধাস্ত নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে চাঙ্গা করতে হবে। সভা থেকে আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশের ঘোষণ দেয়া হয়।
এরশাদ বলেন, মহাসমাবেশ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে জাপার শাসনামলের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন এরশাদ।
তিনি বলেন, আমি একজন অত্যাচারিত ব্যক্তি। আমার মত অবিচার আর কোনো রাজনীতিবিদের প্রতি আর হয়নি। আমার জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বসানো হয়েছিলো বিশেষ আদালত। কিন্তু কি লাভ! আমার প্রতি অত্যাচার করে কি আপনারা ভালো আছেন? দেশ কি ভালো আছে? আমি ক্ষমতা ছাড়ার ২৮ বছর হলো। কিন্তু এ সময় ২৮ দিনও দেশ শান্তিতে ছিলো না। এখন শুরু হয়েছে খুন-গুম-সন্ত্রাস। আমরা দেশে আবারও শান্তি ফিরিয়ে দিতে চাই। আমাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে। এ থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই।
যৌথসভার সমাপনী বক্তব্যে এরশাদ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের (তৃণমূল) কাছে আমার একটাই চাওয়া পার্টিকে ক্ষমতায় নাও। নিজেদের মধ্যে ঐক্য জোরালো করে মানুষের কাছে ছুটে যাও। আমাদের শাসনামলের কথা সবার কাছে পৌঁছে দাও। মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই।
খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে দলে মন্ত্রী-এমপির সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা না হলে দলের মধ্যে অসংগতি দেখা দিবে। দলকে চাঙ্গা রাখলে হলে দলের মধ্যে ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলে আগামীতে জাতীয় পার্টি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে।
সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ই আর চৌধুরী বলেন, ক্ষমতায় যেতে হলে নিজেদের মধ্যে ঐক্য বাড়াতে হবে। নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে লড়াই করতে হবে। দলের মধ্যে ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলে আমরা এককভাবে আবার ক্ষমতায় আসতে পারবো।
যৌথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মশিউর রহমান রাঙ্গা, আজম খান। এছাড়াও দলের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শফিকুল ইসলাম মধু, ইয়াহহিয়া চেীধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম মুর্তজা, জহিরুল আলম রুবেল, মনোয়ার-ই-খোদা চৌধুরী মন্টি প্রমুখ। সভায় মূল দলের নেতারা ছাড়াও জাপার অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যুব সংহতি, ছাত্রসমাজ, মহিল পার্টি, কৃষক পার্র্টি, শ্রমিক পার্টির নেতারা নিজ নিজ ব্যানারে অসংখ্য মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। এছাড়া রাজধানীর আশপাশের জেলার মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগদান করায় আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে ভোরেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জাপার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যৌথসভায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।