রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কালিগঞ্জের চাম্পাফুলে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে পাঁচ গ্রামের মানুষকে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে মানুষ। বাড়ছে ভোগান্তি। অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকোর স্থলে পুল নির্মাণের বাজেট পাশ হলেও ঘের মালিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে তা বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নে উজিরপুর থেকে কুমারখালী যাওয়ার পথে হাওড়ার শাখা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হয়। সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হতে হয় দূরের মানুষকেও।
এছাড়া, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলার পথে বর্ণনাতীত ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আর এসব কারণে যেন হুমকির মুখে পড়েছে চাম্পাফুলের ওই এলাকার জনপদ। চাম্পাফুল এলাকার নেপাল সরকার বলেন, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রচদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই পড়ে যায়। বর্ষার সময়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। শুনেছি এখানে পুল নির্মাণ হবে কিন্তু কবে হবে তা জানা নেই। বর্তমানে অবস্থা এমন যে, এই দুর্ভোগে আমাদের দেখার যেন কেউ নেই। সাবেক গ্রাম পুলিশ আলকেজসুর রহমান জানান, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি পাকা পুলের বাজেট হয়েছিল। কিন্তু এলাকার কিছু ঘের মালিক তাদের জমির ক্ষতি হওয়ার ভয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মাধমে সেই বাজেট বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ঠাকুর দাশ সরকার জানান, বাঁশের সাঁকোর স্থানে একটি পুলের বাজেট হয়েছিল, কিন্তু কিছু অসাধু লোকের খপ্পরে পড়ে তা বন্ধ হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক গাইন বলেন, আসলে বলতেও কষ্ট হয়। কারণ নিজেদের দোষেই আজ এই অবস্থার শিকার। কিছু ঘের মালিকদের কারণে পুল বাজেট করা হলেও তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।