মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদ‚ত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ ইস্যু । গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক সিনেট শুনানিতে তিনি বলেন, যদি সিনেট আমাকে নিশ্চিত করে, তবে আমি প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশনের কাছে এ বিষয়টি গুরুত্বপ‚র্ণ হিসেবে অগ্রাধিকার পাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রদ‚ত নিয়োগ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সিনেট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এই নিশ্চিতের জন্য শুনানির মুখোমুখি হতে হয় রাষ্ট্রদ‚তকে। শুনানিতে মিলারের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, এই সমস্যা ২০১৯ সালে সমাধান হবে না। সম্ভবত দুই বা তিন বছরেও হবে না। কাজেই আমরা পড়াশোনা, জীবিকা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণে জোর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, এটি খুব গুরুত্বপ‚র্ণ যে, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বতঃপ্রণোদিত, নিরাপদ ও সম্মানজনক। মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জাতিগত নিধন ও অন্যান্য নির্যাতন করেছে, তাদের এর দায়িত্ব নিতে হবে।
মিলার আটটি দেশে কাজ করেছেন। তিনি ওইসব দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে আমার প্রথম দিকের সফর হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করা। সেখানে কী হচ্ছে তা যেন আমি বুঝতে পারি। বাংলাদেশের প্রশংসা করে রবার্ট মিলার বলেন, বাংলাদেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ আন্তরিকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে কাজ করবো। মিয়ানমারকে চাপ দেবো যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, স্বতঃপ্রণোদিত ও সম্মানজনকভাবে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে।
বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপ‚র্ণ হিসেবে অভিহিত করে রবার্ট মিলার বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি গুরুত্বপ‚র্ণ সময় পার করছি। বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম ও তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এটি ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমাদের একটি গুরুত্বপ‚র্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের একটি দেশ হবে। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণপ‚র্ব এশিয়ার মধ্যে যোগসূত্র। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে দেশটি গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। কারণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রæতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে পারবে। এ জন্য সব দলকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার স্বাধীনতা দিতে হবে।
সিনেট শুনানিতে মিলার বলেন, বাংলাদেশের চলমান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রতিক হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আইন বহির্ভ‚ত হত্যাকাÐের কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাকে সুযোগ দিলে দায়বদ্ধতা বাড়ানো, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করার ওপর আমি জোর দেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।