নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ সুজুকি কাপের ‘এ’ গ্রæপে টানা দুই জয় পেয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ গ্রæপের শেষ ম্যাচে নেপালকে মোকাবেলা করবে স্বাগতিকরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচে নিদেন পক্ষে ড্র করতে পারলেই গ্রæপ সেরা হয়ে শেষ চারে জায়গা পাবে স্বাগতিকরা। তবে ড্র নয়, নেপালকে হারিয়ে জয়ের ধারায় থাকতে চায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশ ক’বছর ধরে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এই সময়ে কোন সাফল্য তো ছিলোই না, উল্টো ২০১৬ সালের অক্টোবরে এশিয়ান কাপের প্রাক-বাছাই ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছিলেন লাল-সবুজের ফুটবলাররা। এ হারে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের সাফল্য ও চলমান সাফ সুজুকি কাপে জাতীয় দলের পারফরমেন্স মনে হচ্ছে দেশের মৃতপ্রায় ফুটবল যেন জেগে উঠেছে। সাফের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে লাল-সবুজরা অতীত হারের ক্ষত শুকিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়ে তারা শেষ চারের পথ মসৃন করেছে। এবার নেপালকে হারানোর পালা। যাদেরকে হারালে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট পেয়ে গ্রæপ সেরা হয়েই সেমিতে জায়গার পাবে বাংলাদেশ।
এক সময় বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেত না নেপাল। কিন্তু এখন তা অতীত। বর্তমানে ফুটবলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে নেপাল। পরিসংখ্যানও তাই বলে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেপালের চেয়ে ৩৩ ধাপ পেছনে থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে লাল-সবুজরা। এখন পর্যন্ত ২১ বারের সাক্ষাতে ১২ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। নেপাল ৬ ম্যাচ জিতলেও বাকি ৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯৮৪ সালের সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমসে ২১ সেপ্টেম্বর ও ৩০ সেপ্টেম্বর দু’দফায় ৫-০ গোলে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই নেপাল এখন আর নেই। তারা ফুটবলে বেশ উন্নতি করেছে। চলমান সাফ সুজুকি কাপের সেমিতে খেলার স্বপ্ন দেখছে হিমালয় কন্যার দেশটি। তাদেরও লক্ষ্য গ্রæপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানো।
এ ম্যাচকে সামনে রেখে দু’দলই গতকাল অনুশীলন করে। চার দিনে দুই ম্যাচ খেলায় সেরা একাদশকে বিশ্রাম দিয়ে বাকীদের নিয়ে কাল বিকালে কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। একাদশের বাইরে থাকা রনি, সোহেল রানাদের নিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক ঘাম জড়ালেন কোচ। এর ফাকেই কোচ বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে দেয়নি। তবে নেপাল ভিন্ন কৌশলে খেলে। আমারাও তাদের বিপক্ষে ভিন্ন কৌশলে খেলবো। এশিয়ান গেমস থেকেই বাংলাদেশের খেলার ধরনে পবির্তন এসেছে। এখন পুরো ৯০ মিনিটই লড়াই করতে পারে আমার ছেলেরা। শেষ দিকে এখন গোল হজম থেকেও তারা অনেকটা বেরিয়ে এসেছে।’ জেমি ডে যোগ করেন,‘আমরা দু’টি ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু কালকের (আজ) ম্যাচই আমাদের আসল ম্যাচ। নেপাল ও ভুটানের ম্যাচটি আমি দেখেছি। ওই ম্যাচে দূর্দান্ত খেলেছে নেপাল। ম্যাচের ভিডিও দেখেই আমি আমার পরিকল্পনা সাজাব। আমরা জয়ের ধারায় থাকতে চাই। আমার ধারনা আমাদের ডিফেন্ডাররা ওদের ফরোয়ার্ডদের ভয়ংকর হয়ে উঠার সুযোগ দিবেনা।’
পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে এবারের সাফ শুরু নেপালের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুনভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এখনো সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে নেপাল। বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা পেতে চায় দেশটি। নেপাল কোচ বাল গোপাল মহারজন বলেন, ‘সাফে শুরুটা আমাদের ভালো হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলেও শেষ মুহূর্তে আমরা গোল খেয়েছি। সেই গোলে হেরেছে দল। তবে ভুটানের বিপক্ষে দারুণ খেলেছে ছেলেরা। এই খেলাটা ধরে রাখতে পারলে শুধু বাংলাদেশ কেন? যে কোনো দলকেই হারানোর ক্ষমতা রাখে আমার দল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।