নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের বয়স তখন ৮৫ মিনিট। ঠিক এই সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ২০ হাজার দর্শক উল্লাসে ফেটে পড়লেন। ‘গোওওওও......ল’ বলে আনন্দ চিৎকারে তারা আকাশ-বাতাস এক করে ফেললেন। আর এই চিৎকারই যেন ফিরিয়ে আনলো দেশের মৃতপ্রায় ফুটবলের প্রাণ। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ সুজুকি কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রæপের এই ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারায় পাকিস্তানকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। এই জয়ে স্বাগতিকরা সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গেল। এখানো গ্রæপের দু’টি ম্যাচ বাকি। শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে নিদেন পক্ষে ড্র করলেই গ্রæপ সেরা হিসেবে শেষ চারে জায়গা হবে লাল-সবুজদের।
প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে ঝুলিতে আগেই তিন পয়েন্ট পুড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালে সাফের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত। যা গত তিন আসরেও করে দেখাতে পারেনি লাল-সবুজরা। সেই সম্ভাবনার হাতছানি সামনে ছিলো বলেই স্টেডিয়ামে আসতে কার্পন্য করেননি দর্শকরা। প্রতিপক্ষ যখন পাকিস্তান, তখন বাড়তি অনুপ্রেরণা নিয়েই মাঠে হাজির হন প্রায় ২০ হাজার ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশী। ভুভুজেলা ও বিউগল বাঁজিয়ে স্বাগতিকদের প্রতিটি আক্রমণেই উল্লাস করেন তারা। আর গোল পাওয়ার পর উচ্ছাসে ফেটে পড়েন।
সদ্য সমাপ্ত জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস ফুটবলে সিনিয়র কোটায় মামুনুল ইসলাম মামুনকে রাখেননি ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। সাফের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষেও একাদশে ছিলেন না তিনি। কিন্তু পাকিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে আর ডাগআউটে বসিয়ে রাখতে পারলেন না কোচ। প্রথম একাদশেই জায়গা দিলেন। আর তাতেই বাজিমাত। কোচের আস্থার মূল্য ঠিকই দিলেন মামুনুল। বার বার পাকিস্তানের আক্রমণ নির্ভারতার সঙ্গেই মাঝমাঠেই রুখে দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিলেও প্রথমার্ধে গোল হওয়ার মতো সহজ সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রথম কর্ণার আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। তবে তা কাজে লাগেনি। প্রায় আগের ম্যাচের একাদশই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে। শুধু মাত্র আতিকুর রহমান ফাহাদের পরিবর্তে এ ম্যাচের সেরা একাদশে খেলেন মামুনুল। কিন্তু খেলায় বিস্তর ফারাক ছিলো প্রথম ম্যাচের তুলনায়। বলতে গেলে পুরো প্রথমার্ধ একটি উইং ব্যবহার করেছে লাল-সবুজরা। বেশিরভাগ সময়ই বাংলাদেশের আক্রমণটা ছিলো লেফট উইং ভিত্তিক। মাঝ মাঠও ঠিক মতো বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। বাংলাদেশের আক্রমণগুলোও বার বার পাকিস্তানের বক্সে গিয়েই মিলিয়ে যাচ্ছিলো প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন নতুন করে জেগে ওঠেন জামাল ভূইয়া-মামুনুলরা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে বিশ্বনাথের থ্রো থেকে জটলায় বল পায় বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের শক্ত ডিফেন্স ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয় তারা। ৮২ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। মামুনুলের বাড়ানো বল কাজে লাগাতে পারেননি তপু বর্মন। তবে কাজের কাজটি ঠিকই তিনি করেন তিন মিনিট পর।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বিশ্বনাথ ঘোষ লম্বা থ্রো করলে বক্সে দাঁড়ানো তপু হেডে গোল করে আনন্দে ভাসান লাল-সবুজদের (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠে ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ১ : ০ পাকিস্তান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।