বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খোয়ার গ্রামে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কৃষক শাখাওয়াত মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ২৫ জন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হাসিনা বেগম ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে আনিস মেম্বারের বাড়ি, আসাদ মৃধা, আরফিন মৃধা, আব্দুল হাই, করিম মাতুব্বর, সাগর মাতুব্বর, দুলাল মাতুব্বর, হেলাল মাতুব্বর, সোহেল, পিকুল মোল্লা, নাসের মোল্লার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করা হয়।
আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দেন গট্টি ইউনিয়নের বাদশা মিয়া, অপর গ্রুপটির নেতৃত্ব দেন একই ইউনিয়নের ওদুদ। এলাকাবাসীরা আরো জানান, খোয়ার গ্রামের পুরো নেতৃত্ব নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওদুদ মাঝে মধ্যেই এই ধরণের হামলা, লুটতরাজের ঘটনা ঘটায়। সম্প্রতিক একই ইউনিয়নের গৌরদিয়া গ্রামে বিপ্লব মাতুব্বরসহ ২০টি বাড়িতে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওদুদের ভয়ে পুরো খোয়ার গ্রামের কোনো পুরুষ লোক বাড়িতে নেই। এলাকাটি এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবার হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল পাশা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি।
আটঘর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ খান জানান, খোয়ার গ্রামের ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাটি ওদুদের নেতৃত্বেই হয়েছে। এ বিষয়ে ওদুদ জানান, এই সংঘর্ষের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। বাদশা মিয়া বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি যুক্ত নই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।