মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি ব্রিটেনের স্বার্থ রক্ষায় কোনো ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিলেও তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রভাবশালী ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা। এমনকি নিজ দলের মধ্যেও সমালোচিত হচ্ছেন থেরেসা মে। কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন- এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইইউ’র সঙ্গে দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় রয়েছে। কিন্তু এমন অবস্থাতেও থেরেসা মে তার ‘ব্যবসাবান্ধব ব্রেক্সিট পরিকল্পনার’ প্রতি দল ও দ্বিধা-বিভক্ত ব্রিটিশ জনগণের সমর্থন আদায় করতে সংগ্রাম করছেন। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রয়েছেন মে। প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন মে’র দীর্ঘদিনের সহচর বরিস জনসনসহ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেও ব্রিটেন যেন ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে অনায়াসে বাণিজ্য করতে পারে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। তবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ইইউ’র প্রতি নমনীয় না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রোববার তিনি বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী কোনো বিষয় তিনি মেনে নেবেন না। কিন্তু টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক কলামে বরিসন জনসন লিখেছেন, মে’র এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্রিটেনের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। বাস্তবে, এই পরিকল্পনা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় মে’র সাবেক সহচর ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে ব্রিটেনের জন্য দুর্যোগ আখ্যা দিয়েছেন। বরিস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ব্রেক্সিটের বেশির ভাগ সুবিধা থেকে ব্রিটেন বঞ্চিত হবে। মানুষ বুঝবে যে, চেকার্সের পরিকল্পনা ছিল বিপর্যয়কর। বিষয়টি এমন যে, আমরা ইইউ’র ট্যক্সিতেই থাকবে। কিন্তু গন্তব্য নিয়ে আমাদের কিছু বলার থাকবে না। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।