পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গার্ডিয়ান : থেরেসা মে এ সপ্তাহে পার্লামেন্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। তার নেতৃত্বের প্রতি আশু চ্যালেঞ্জ জানানোর মত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তিনি এখন নিরাপদ। তবে দলের সাথে তার দীর্ঘদিনের বিশ^াসযোগ্যতার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ-এর ধারণা রাজনৈতিক নেতাদের জন্য গতানুগতিক কিছু, কিন্তু খুব কম মানুষই তাদের পুঁজি-পাট্টায় এত দ্রæত টান পড়তে দেখেছেন যেমনটি থেরেসা মে করেছেন শুক্রবার ৯ জুন সময়ের মধ্যে, যখন তিনি উপলব্ধি করেন যে তার আগাম নির্বাচনের জুয়া নেতিবাচক ফল বয়ে এনেছে এবং পরবর্তী শুক্রবার গ্রেনফেল টাওয়ার ট্রাজেডিতে তার সাড়া অ-সহানুভূতিপূর্ণ মনে করা ক্রুদ্ধ জনতা তাকে লক্ষ্য করে ‘কাপুরুষ’ বলে চিৎকার করতে থাকে যখন তিনি ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের একটি সভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি পুলিশ বেষ্টিত ছিলেন। সপ্তাহান্তে সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে ছদ্ম আবরণের সম্মুখীন অথবা তাকে প্রধানমন্ত্রীত্ব রক্ষার জন্য মাত্র ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
এদিকে মে আসন্ন নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বলে যে ধারণা ছড়িয়েছে সিনিয়র টোরি নেতারা অতিরঞ্জিত কথা বলে তা নাকচ করে দিয়েছেন। একজন এমপি, যিনি কোনো ষড়যন্ত্র হয়ে থাকলে সে ব্যাপারে তার জানার কথা, তিনি বলেন যে আসন্ন অভ্যুত্থানের ব্যপারে ১০ নং বিশ^াস করেন না বলে প্রকাশিত খবরে তিনি দিশেহারা।
সানডে টেলিগ্রাফ বলেছে যে টোরি ইউরোবিরোধীরা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিতে তার নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে কঠিন ব্রেক্সিটের জন্য চাপ সৃষ্টিকারী প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত ককাস ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রæপ থেরেসার পিছনে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে বলে একটি সূত্রের তথ্যে জানা যায়। এটি কম কথা নয়, যেহেতু ব্রেক্সিটপন্থীরা উদ্বিগ্ন যে যদি মে’কে চলে যেতেই হয় , তার স্থানে যেন অধিকতর ব্রেক্সিটপন্থী কাউকে বহাল করা যায়।
বুধবার রাণীর বক্তৃতা বিতর্কের শুরুতে মে’কে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিতে হবে এবং গোলমাল শুরু হবে তখন যখন এক সপ্তাহ পর এমপিরা ভোট দিতে আসবেন। এ ব্যাপারটির ভাঙ্গা-গড়া নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনাই হোক না কেন, ডাউনিং স্ট্রিট ভোটে জয়লাভ বিষয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ^াসী। তারা আশা করছে ডিইউডি কনজারভেটিভদের সাথে ভোট দেবে, মে’কে প্রায় ১৩ জনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তার রাণীর বক্তৃতা পাওয়া উচিত।
মে গত সপ্তাহে ১৯২২ কমিটির ব্যাক বেঞ্চে আন্তরিক ও অনুশোচনামূলক বক্তৃতা দিয়ে তার দলের সাথে তার নির্বাচনোত্তর সুনাম পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু তখন থেকে গ্রেনফেল টাওয়ার ট্রাজেডির সাথে তার মন্থর ও আবেগপ্রবণ নীরস প্রকাশ সাড়া দলের মধ্যে বারবার এ ভীতি সৃষ্টি করছে যে মেজাজের দিক দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুপযুক্ত।
একজন ব্যাকবেঞ্চার বলেন, এটা চিহ্নিত হয়েছে যে থেরেসা আলাপী নন, নৈর্ব্যক্তিক এবং সহানভূতিশীল হওয়া কঠিন। তিনি এমনভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি যা সহজে টনি বেøয়ার বা ডেভিড ক্যামেরনের পর্যায়ের হতে পারে।
মে’র সাথে কাজ করেছেন এমন কিছু লোক স্বীকার করেন যে অন্য রাজনীতিকরা যেমনটি করেন তিনি আবেগ গ্রবণ হয়ে জনগণের সাথে সেভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। তবে তারা এও বিশ^াস করেন যে গ্রেনফেল টাওয়ার নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু সমালোচনা একবারে যাচ্ছেতাই । তারা বলেন, তিনি যখন বৃহস্পতিবার ভিকটিমরা নন, দমকল কর্মীদের সাথে দেখা করেন তখন তিনি আগের নজিরই অনুসরণ ও তার নিরাপত্তা টিমের সর্বোত্তম উপদেশ মতই কাজ করছিলেন।
মে’র দুরবস্থা দৃষ্টিগোচর হয় তখন যখন বুধবার ইউগভ জনপ্রিয়তা জরিপের খবর প্রকাশিত হয়। এপ্রিলে মে’র জনপ্রিয়তার হার ছিল +১০ (যারা বলেছে তাদের মত পক্ষে, যারা বলেছে তারা পক্ষে নয় তারা বাদ), অন্যদিকে লেবার নেতা জেরেমি করবিনের ছিল -৪২। কিন্তু এখন তিনি ০-এর কাছে, মে’র রেটিং-এ ধস নেমে তা এখন -৩৪।
কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশই মে’র বদলে একজন জনপ্রিয় ও গতিশীল নেতা চান। কিন্তু মূল সমস্যা রয়েই যাচ্ছে যা একজন এমপি বলেছেন যে এখানে কোনো উত্তরসূরী নেই। মে অবসর গ্রহণ না করা পর্যন্ত নেতৃত্ব প্রতিযোগিতা চলতেই থাকবে। যদি টোরি এমপিদের ১৫ শতাংশÑ তাদের মধ্যে ৪৮ জন ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে একজনকে দাবি করে লেখেন এবং যদি কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকে যে পক্ষে এ রকম সংখ্যা নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন সর্বাপেক্ষা উঁচু মাপের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তার একটি প্রচারণা টিমের কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে যা তার পক্ষে সক্রিয় করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তার পূর্বসূরী হেনলির এমপি মাইকেল হেসেলটাইনের বেলায় কি ঘটেছিল তা তিনি মনে রেখেছেন। হেনলি মার্গারেট থ্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, যদিও তিনি সম্পূর্ণ সচেতন ছিলেন যে কনজারভেটিভ দলে বিশ^াসঘাতকতার জন্য শাস্তি পেতে হয়। বরিস মে’কে সমর্থন প্রদানের জন্য এমপিদের আহবান জানাচ্ছেন।
এটা অস্পষ্ট যে দলে বিভক্তির সৃষ্টি না করে কোন উত্তরসুরি ব্রেক্সিট বিষয়ে কি করে দলীয় নীতির পরিবর্তন বা এ বিষয়ে বেশী কিছু করতে পারবেন। মে এখনো আরো কিছুদিন প্রধানমন্ত্রিত্ব করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।