Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিল-ফি সেবা বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) লেনদেন এখনই বন্ধ হচ্ছে না। গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এজেন্টের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত লেনদেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি এমএফএস প্রভাইডরদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল রেগুলেশন-২০১৮ অনুযায়ী ৩০ জুলাই থেকেই ওটিসি লেনদেন বন্ধ হওয়ার কথা ছিল।
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় গ্রাহকরা ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি বিল, জাতীয় পরিচয়পত্রের নবায়ন ফি, পাসপোর্টের ফি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভর্তি ফি ও বেতন প্রদান, ট্রাফিক পুলিশের জরিমানা, ভিসা প্রদানসহ অনেক ধরনের ফি প্রদানের সেবা গ্রহণ করে থাকেন, যা ওটিসি লেনদেন হিসেবে বিবেচ্য।
দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর পরের বছর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রণীত এমএফএস নীতিমালায় এজেন্টের মাধ্যমে এসব বিল ও ফি প্রদান সংক্রান্ত লেনদেন করার সুযোগ রাখা হয়। তবে সম্প্রতি প্রণীত বাংলাদেশ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল রেগুলেশন-২০১৮ এ এমএফএস এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে শুধু ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট লেনদেন সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ৩০ জুলাই এ রেগুলেশন সার্কুলার আকারে জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট ছাড়া অন্য কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না এজেন্টরা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস রেগুলেশনের ১০.১ (২) উপধারায় একথা বলা আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় গ্রাহক কর্তৃক নিজস্ব লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাময়িক সময়ের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে ওটিসি লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট এমএফএস প্রোভাডইর প্রতিষ্ঠান ব্র্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশ ও ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওভার দ্য কাউন্টার লেনদেন সাময়িক চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেই এ বৈঠক ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ। বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার সুবাদে ব্যাংকিং সেবার আওতাবহিভর্‚ত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ১৭ ব্যাংক সরাসরি এবং একটি ব্যাংক সাবসিডিয়ারি গঠনের মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই নিজস্ব কারিগরি সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে রূপালী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটরের (পিএসও) সহায়তায় এমএফএস সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এতে আরও বলা হয়, মূলত বিকাশ, শিওর ক্যাশ ও রকেটের এমএফএস গ্রাহকরা বর্তমানে এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি বিল, জাতীয় পরিচয়পত্রের নবায়ন ফি, পাসপোর্টের ফি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভর্তি ফি ও বেতন প্রদান, ট্রাফিক পুলিশের জরিমানা, ভিসা প্রদানসহ অনেক ধরনের ফি প্রদানের সেবা গ্রহণ করে থাকে; যা ওটিসি হিসেবে বিবেচ্য। তাই গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় বিল ও ফি জমা সংক্রান্ত এসব ওটিসি লেনদেন সুবিধা আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু রাখা যেতে পারে। এরপর কোনো অবস্থাতেই এ সুবিধা আর বৃদ্ধি করা হবে না। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস রেগুলেশনের সংশ্লিষ্ট ১০.১ (২) উপধারা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোবাইল ব্যাংকিং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ