পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছে ছয় কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার। সেই হিসাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৫২ শতাংশ হিসাবই নিস্ক্রিয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৬টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার। অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক বেড়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার।
পরিসংখ্যানের তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা ধারাবাহিক বাড়লেও সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা সেই হারে বাড়েনি।
জানা গেছে, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। মার্চে শেষে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার। সেই হিসাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৫২ শতাংশ হিসাবই নিস্ক্রিয়। ফেব্রুয়ারিতে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার।
এমএফএস এ গত মার্চে প্রতিদিন গড়ে ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয়েছে। আর আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯১ জন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণ ইত্যকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের মাধ্যম। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আলোচিত মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে টাকা স্থানান্তর হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ৭৫৬ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সরকারি পরিশোধ ২ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫২৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।