পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হলেও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কোম্পানিগুলোকে (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) দিতে হবে আগের চেয়ে বেশি কর। তালিকাভুক্ত এমএফএস কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার সাড়ে ৩২ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে আর তালিকাভুক্ত না হলে কর হার সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এতদিন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভূক্ত সব ধরনের এমএফএস কোম্পানি সাড়ে ৩২ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিত। এমএফএসের ওপর করপোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও তালিকাভুক্ত এবং তালিকার বাইরে থাকা কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ পয়েন্ট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১২ সালে বিকাশ এ সেবা চালু করার পর দেশে এখন নগদ, রকেট, ইউক্যাশ, এমক্যাশ, শিওরক্যাশ, উপায়সহ ১৬টির মত কোম্পানি এমএফএস সেবা দিচ্ছে। এসব কোম্পানির করপোরেট করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করার পাশাপাশি এমএফএসে অর্থ লেনদেন বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে- যেসব ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধে ব্যাংক ট্রান্সফারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাশি এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেনে তা ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার বা এমএফএসের মাধ্যমে সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। সরবরাহ ও ঠিকাদারির বিল ব্যাংকিং বা এমএফএসের মাধ্যমে গ্রহণ করা না হলে প্রযোজ্য উৎসে কর হারের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া। এমএফএসের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক পর্যায়ে যে ৩৫ লাখ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন, তাও এমএফএসের মাধ্যমে পৌঁছেছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব প্রস্তাব সংসদে পাস হলে অর্থনীতির আকার বড় হবে, বিনিয়োগ ও রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাশি এমএফএসের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে একটি আধুনিক প্রযুক্তিকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।