বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটনায় ১২ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এসব মামলা করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। এইসব মামলায় আসামি করা হয়েছে মোট ১৫ জনকে। এতে ৬১ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সব কটি মামলাতেই আসামি হয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পাঁচ কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন আইসিবির সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিপু সুলতান ফারাজি, তিন সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোঃ এহিয়া মÐল, মোঃ সামছুল আলম আকন্দ ও শরিকুল আনাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ধনঞ্জয় কুমার মজুমদার। অন্য আসামিরা হলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদ ও তাঁর স্ত্রী নাসিমা আক্তার; তেজগাঁও স্টাফ কোয়ার্টারের এ কে এম রেজাউল হক ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা; মোহাম্মদপুর খিলজী রোডের লাইলা নুর; তেজাগাঁও মণিপুরিপাড়ার এ কে এম আতিকুজ্জামান; গ্রিন রোডের কাজী মাহমুদুল হাসান; গুলশানের শেখ মেজবাহ উদ্দিন ও তাঁর মেয়ে শিমা আক্তার এবং শ্যামলীবাগের বুলবুল আক্তার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে শেয়ারবাজারে উল্লম্ফনের সময় কারসাজির ঘটনাগুলো ঘটে। আইসিবি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের কিছু কর্মকর্তা গ্রাহককে অনিয়মের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ করে দিয়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের শেষ দিকে এ-সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। মামলায় এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার,প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারি অর্থের ক্ষতি সাধন করে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মার্জিন ঋণের অনিয়ম ঘটিয়ে গ্রাহককে তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়মবহির্ভূত লেনদেন করার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফালুসহ ৯ ব্যবসায়ীকে ফের তলব
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৮০ লাখ মার্কিন ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ৯ ব্যবসায়ীকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা পৃথক চিঠির মাধ্যমে তাদের ৫ সেপ্টেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যান্যরা হলেন-আরএকে পেইন্টসের পরিচালক শায়লিন জামান আকবর ও কামার উজ্জামান, রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক আশফাক উদ্দিন আহমেদ, আরএকে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক মোঃ আমির হোসাইন ও এম এ মালেক, আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক মোঃ মাকসুদুল ইসলাম, আরএকে সিরামিকসের স্বতন্ত্র পরিচালক ফাহিমুল হক এবং স্টার সিরামিকসের পরিচালক প্রতিমা সরকার। মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গত ১৪ আগস্ট প্রথম দফায় তলব করলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি সচিবের মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে সময় দিয়েছে দুদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।