নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপ মানেই যেন অন্য এক বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে হওয়া তিন আসরের দুটিতেই খেলেছে ফাইনালে, শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হয়নি স্বপ্ন পূরণ। এই আসরকে ঘিরে তাই স্বপ্নটা বরাবরই বেশ বড়ই মাশরাফি-মুশফিকদের। সামনে আরেকটি আসর। আরব আমিরাতে সেই উপলক্ষেকে রাঙিয়ে দেশে ফিরতে এরই মধ্যে মিরপুরে ব্যস্ত বাংলাদেশ দল। অনুশীলন শুরুর দিনই সবাইকে ডেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিশ্বাস রাখতে বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলের অন্দর মহলের সে খবর জানিয়েছিলেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। এবার মূল দলের অনুশীলনের শুরুর দিন সেই একই কথা শুনিয়েছিলেন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনও। আর গতকাল দলে যোগ দিয়ে সত্যটা বলে দিলেন ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যানকে অবশ্য পাকাপাকিভাবে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, আপাতত খণ্ডকালীন কাজই করবেন। এশিয়া কাপের আগে গতকাল যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। দায়িত্ব নিয়েই মত্যিটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেন এই প্রাটিয়া।
দেশে ও বিদেশে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ভাল করার ইতিহাস আছে আইসিসি ইভেন্টগুলোতে। তবে কখনই তিন বা তার বেশি দলের কোন টুর্নামেন্ট জেতা হয়নি। ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ লড়াই দিয়েই শুরু হবে টুর্নামেন্ট। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে তিন দলের মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকতে হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার ফোরে আছে আরও তিন ম্যাচ। সব মিলিয়ে ফাইনালের পথটাও বেশ কঠিন। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে সাবেক এই প্রোটিয়া বিশেষ ভাবে স্মরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। এমন দিনে, যেদিন সকালেই তার ব্যাটে চড়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সিপিএলের দল সেন্ট কিটস এন্ড নেভিল।
ছয়-সাত নম্বর পজিশন অনেক দিন ধরেই মাথাব্যথা বাংলাদেশের জন্য। সাব্বির রহমানকে এক্ষেত্রে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা কারণে এশিয়া কাপের দলে নেই। মোসাদ্দেক হোসেন ও আরিফুল হকও এখন পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি এখানে। এশিয়া কাপে মোহাম্মদ মিঠুনকেও ভাবা হচ্ছে এই ভূমিকায়। ম্যাকেঞ্জি বললেন, ওই সময় নেমেই বড় ছয়ে মাঠ পার করে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং টেকনিক্যালি মেরেও দ্রুত রান তোলা যায়। মাহমুদউল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিলেন আলাদা করে, ‘আমাদের দলেও মারার লোক আছে। রিয়াদ যেমন সিপিএলে ১১ বলে ২৮ রান করেছে। আপনি যদি ভালো পজিশনে যেতে পারেন, তাহলে আপনি আরও বেশি মারতে পারবেন। আপনার লক্ষ্য ওভারে ছয় রান থাকলে আপনি এক বা দুই রান নিয়ে গ্যাপ বের করার চেষ্টা করবেন। আর চার মারার জন্য আপনি কাভার, মিডউইকেট বা সোজাসুজি মারার কথা ভাববেন। ওভারপ্রতি ১২ রান দরকার হলে আপনাকে তখন বড় শট খেলতে হবে।’
তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাতারাতি সবকিছু বদলে দেওয়া যাবে না, সেজন্য ছয় থেকে সাত মাস সময় প্রয়োজন তা মনে করিয়ে দিলেন ম্যাকেঞ্জি, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো একটা দল। সিনিয়ররা তো অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমাদের ব্যাটের স্পিড বাড়াতে হবে, কব্জির ব্যবহারও বাড়াতে হবে। আমার মনে হয়, ছয়-সাত মাসের মধ্যে সবাইকে যখন মোটামুটি জানতে পারব তখন অন্য দলের সঙ্গে তুলনা করতে পারব। এখানকার ব্যাটসম্যানদের কব্জির ব্যবহার খুবই ভালো। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও খুবই ভালো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।