Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাঞ্চলে উজ্জীবিত বিএনপি

টার্নিং পয়েন্ট ঢাকার মহাসমাবেশ

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ঢাকার মহাসমাবেশের পর অর্ধশতাধিক মামলায় জর্জরিত বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠছে। রাজপথে কোনঠাসা তৃণমুলের নেতাকর্মীরাও হয়ে উঠছে সক্রিয়। তবে রাজনৈতিক মামলার শিকার ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের আগাম নির্বাচনে মাঠ দখলের বিষয়ে শঙ্কা কাটেনি। তদুপরি গত ৩ দিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের আবহে নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তৃণমুলের নেতাকর্মীরাও নামছেন আটঘাট বেঁধে। তবে বসে নেই শাসক দলের টপ লিডাররাও। তারা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। শোকের মাস শেষ হলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে খুলনাঞ্চলে এখনও রাজনীতির মাঠ দখল করে আছে।
সূত্রমতে, বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোট রাজনীতি আর আন্দোলনের মাঠ এখনও কণ্টকাকীর্ণ নয়। গত শনিবার ঢাকা সমাবেশের শোডাউনের পর বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের নেতাকর্মীরা বেশখানিকটা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। এখন অপেক্ষা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির। বেগম জিয়ার অনুপস্থিতি এ অঞ্চলের বিএনপি’র রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কিছুটা ভাটা পড়লেও ঢাকার সমাবেশের পর পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নের গ্রামের অলিতে গলিতে নির্বাচনী কর্মকান্ডের কথা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি দলের কান্ডারি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কঠোর আন্দোলনের জন্য মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে নেতাকর্মীরা।
খুলনার মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,  বিএনপি অধ্যুষিত বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে নেতাকর্মীরা এখনও আতঙ্কে রয়েছে। তবে রাজপথ থেকে আমরা সরে দাড়ায়নি। গ্রেফতার আর হয়রানির ভয়ে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রকাশ্যে সভা সমাবেশে বুক ফুলিয়ে অংশ নিতে পারছেনা। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার জেলা উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মীর পরিবারও স্বস্তিতে বসবাস করতে পারছে না। মিথ্যা মামলা যেন তাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। এসকল আতঙ্ক কাটিয়ে ভোট রাজনীতির মাঠে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মঞ্জু বলেন, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র খুলনা তথা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। তাকে মুক্তি না দিলে আমরা নির্বাচনে যাবো না।  
মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বেগম জিয়ার কারাগারে থাকা মানেই গনতন্ত্রের প্রতি চরম হুমকি। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আমরা রাজপথে থাকবো কারণ বিএনপি গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
উল্লেখ্য, বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলায় অর্ধশত মামলায় আসামী হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মী। বাগেরহাট জেলায় কয়েকশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে প্রায় দু’ডজনের মত। এছাড়া কোন সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। এ প্রেক্ষপটে বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র শীর্ষ নেতা মনিরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকারের মসনদ টিকিয়ে রাখা যাবে না। এদের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভালো মানুষদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করছে। তল্লাশীর নামে হয়রানির শিকার হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবার পরিজন। পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের জামিন ধরার জন্য যারা আদালতে তদবির করছে তাদেরকেও হয়রানি করা হচ্ছে। তল্লাশীর নামে কর্মীদের পুলিশ খুঁজছে।
এদিকে, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে। স্বাধীনতার পক্ষের এ দলটির সাথে রয়েছে এ দেশের আমজনতা। আগামী নির্বাচনে এর কঠোর জবাব দেয়া হবে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ