বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি নারীর শ্লূীলতাহানির ঘটনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে আবারও তদন্তে নেমেছে কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দীর্ঘ প্রায় আট মাসেও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন সম্প্রতি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে তদন্তের বিষয়টি জানতে চান। এরপরেই নতুন করে আবার তদন্ত শুরু হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, গত ২২ জানুয়ারি কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার পথে মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। এরপর বিএসএফের অভিযুক্ত জওয়ান বিরান্না ভাবেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিএসএফ। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে শিয়ালদহ বিভাগের রেল পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছে। সম্প্রতি গেদে-দর্শনা জিরো পয়েন্টে ভুক্তভোগী ওই নারী যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বিএসএফ কর্তারা। এ সময় বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিতি ছিলেন।
সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরার শৌচাগারে ওই নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী জানান, উল্টোডাঙা থেকে ব্যারাকপুরের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারীর ও অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানেরও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তকারীরাদের একজন বলেন, “অভিযুক্ত জওয়ান শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার বয়ানে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। বিষয়টি আমরা অধিকতর তদন্ত করে দেখছি।’ ঘটনা তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারপোলের প্রতিনিধির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বাংলাদেশের আদালতের কাছে বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা চেয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের আদালত অভিযোগকারীর বক্তব্য ও পয়োজনীয় তথ্য নিয়ে সিল বন্ধ খামে শিয়ালদহ আদালতে পাঠানোর কথা। এরপর শিয়ালদহ আদালত তা তুলে দেবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রেল পুলিশ জানায়, ওই প্রক্রিয়ায় পাঠানো খামটি বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাঠানো নথির মধ্যে তারিখ সংক্রান্ত ভুল ছিলো। সেখানে এক জায়গায় ঘটনার তারিখ ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি লেখা হয়। ফিরতি চিঠিতে, কোন তারিখটি সঠিক তা বাংলাদেশ জানতে চেয়েছে। ভুল সংশোধন করে শিগগির নতুন করে বাংলাদেশে পাঠানো হবে এবং তদন্ত কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।