পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘহীন আকাশ। সকাল থেকেই সূর্যের চোখ রঙানি। ভাদ্রের তাল পাকা রোদে ঘরে বসে থাকায় দায়। তাপমাত্রাও ছিল ৩৩ দশমিক ৭। এই প্রচন্ড গরমে বিনামূল্যে রিলিফের চাল নিতেও রোদের মধ্যে অনেকেই দাঁড়াবেন না। অথচ সেই রোদ এবং গরমকে উপেক্ষা করে লাখো মানুষ ছুটে এসেছিলেন রাজধানীর নয়াপল্টনে। মাথার উপরে ছায়া নেই, নেই কোন গাছপালা। মাথা পুড়ছে সূর্যের তাপে, দুই পাশে কংক্রিটের ভবন আর পায়ের নিচে উত্তপ্ত পিচ ঢালা পথ। স্বাভাবিকভাবে ১০ মিনিটও যেখানে দাঁড়ানো দায়, সেখানেই সকাল থেকেই রৌদ্র, তাপ, গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টন-নাইটিঙ্গেল সড়কে বসে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঞ্চে যে কোন তারকাকে দেখবেন তারও কোন আশা নেই। জেলে থাকায় আসবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিদেশে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জিয়া পরিবারের কেউই আসবেন না জানেন। তারপরও তারকাবিহীন এই জনসভায় দলে দলে ছুটে আসেন বিএনপি নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও উৎসুক জনতা। একদিকে নয়াপল্টন রোডের নাইটিঙ্গেল-কাকরাইল অন্যদিকে ফকিরাপুল-আরামবাগ ছাড়িয়ে যায় জনসভায় আসা মানুষের জমায়েত।
তাদের কেউ কেউ সকাল ১০ টা কিংবা ১১টা থেকে শুরু করে অবস্থান করেছেন জনসভা শেষ হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু কেন? কিসের টানে? কাকে দেখার জন্য কিংবা কার কথা শোনার জন্য তারা ছুটে এসেছেন নয়াপল্টনে। গরমের মধ্যে উত্তপ্ত পিচ ঢালা পথে অবস্থান করছেন? জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, আমাদের মা, গণতন্ত্রের মা, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা কি ঘরে বসে থাকবো? আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো। আজকে (গতকাল) এই দাবি আদায়ের প্রথম ধাপ শুরু হলো। রোদ-বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে কেন প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আমরা আমাদের মাকে মুক্ত করবো, দাবি আদায়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবো।
মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার বলেন, আমাদের নেত্রীকে পরিত্যাক্ত ও নির্জন একটি কারাগারে অসুস্থ্য অবস্থায় বন্দি রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। আর আমরা বাইরে ভাল থাকবো এটা হতে পারে না। তাকে মুক্ত করার জন্য এটি কেন এরচেয়েও বেশি কষ্ট মেনে নিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
মিরপুরের পল্লবী থেকে আসা মহিলা দলের আয়শা খাতুন বলেন, অনেক কষ্ট করে জনসভায় এসেছি। অনেক জায়গায় গাড়ি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা জনসভায় না আসতে পারি। তারপরও মানুষের স্রোত ওরা ঠেকাতে পারেনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্রের মা জেলে। মা জেলে থাকলে কি সন্তান ভাল থাকতে পারে? গণতন্ত্র মুক্তি পাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে। গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি অনিবার্য।
বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে জনসভা করেছে দলটি। প্রায় দেড় মাস পর ২৩টি শর্তে তাদের এই সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হলেও এর অনেক আগে থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এলাকা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ট্রাকের উপর সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। সকাল ১০টার পর থেকেই এই মঞ্চের পাশে অবস্থান নিতে থাকেন তারা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নয়াপল্টন ভরে ওঠে মানুষ আর মানুষে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি একদিকে নাইটিঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিরাপুল ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া ওই সড়কের আশপাশের অলিতে গলিতে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। তখনও খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভামুখী ছিল ঢাকা ও এর আশাপাশের জেলার নেতাকর্মীরা। হাতে হাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড আর মুখে মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে দিতে তারা সমাবেশে উপস্থিত জনতার সাথে মিলে যান। নেতাকর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই,’ ‘ আমরা নেত্রী, আমার মা, বন্দি থাকতে দেবো না’, ‘ খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’, ‘ তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশ’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।
বেলা ২টায় কুরআন তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জনসভা। জনসভা শুরুর আগে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা দলীয় সঙ্গীতসহ খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা গান পরিবেশন করে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করেন। জাসাসের গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, মামুন আহমেদ, হেলাল খান, মনিরুজ্জামান মুনির, আবু সালেহ, মুনির খান এই অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগে খলেদা জিয়ার মুক্তি পরে নির্বাচন। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। তাই আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সকল রাজবন্দিকে মুক্তি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে। একইসাথে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
দেশবাসী ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন এখন আর কোন বিভেদ নয়, কালবিলম্ব নয়, গণতন্ত্র, বাংলাদেশ, স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশনেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে আহ্বান করে গিয়েছিলেন সকলকে ঐক্য তৈরি করতে বলেছিলেন। সেই জাতীয় ঐক্য তৈরি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম জোট গঠনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সকলকে আহ্বান জানাই আসুন আমরা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এই দুঃশাসন, স্বৈরচারকে যারা বুকের ওপর চেপে বসে আছে তাদেরকে পরাজিত করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মধ্যে ২৪ ঘন্টা বিএনপি ভীতি কাজ করছে। আওয়ামী লীগ রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে। রাথে ভয়ে ঘুম থেকে চিৎকার করে উঠে এই ভেবে যে, এই বুঝি খালেদা জিয়া এলো, এই বুঝি তারেক রহমান, বিএনপি এলো। এর থেকে বাঁচার জন্য কত রকম কারসাজি, কারুকাজ করছে। এজন্য ইভিএম নিয়ে এসেছে। কারণ তারা জানে মানুষ তাদের রক্ষা করবে না। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে দূরে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ একটি দেওলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা বলতো তরুণ-যুবকেরা নাকি তাদের সাথে আছে। কিন্তু এখন শিশু, তরুণ-যুবকরা প্রতি মূহুর্তে বলে এই পাথর, দুঃশাসন কবে বুকের ওপর থেকে যাবে?
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, কোটি কোটি মানুষের সংগঠন বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য, মানুষের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে। অসুস্থ্য একজন মানুষকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। নির্জন কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য কারাগারে গেছেন, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, সন্তান নির্বাচিত। এটা কি তার প্রাপ্য? এজন্য আপনাদের বুকে সাহস নিয়ে, বল নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে দেখতে চাই না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জনসভা উপলক্ষ্যে সারাদেশে প্রত্যেক নেতাকর্মীর বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন, আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন। আন্দোলন ছাড়া, দেশনেত্রী মুক্ত হওয়া ছাড়া, মাদার অব ডেমোক্রেসির মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। আন্দোলনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমি প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য সাবেক মন্ত্রী বলেন, আপনাদের বলতে চাই, নির্বাচনের আগে আপনারা অতীতের কথা ভুলে গিয়ে নিরপেক্ষ হয়ে যান, ভালো হয়ে যান। এদেশের মানুষ আপনাদের থেকে আশা করে নির্বাচনের আগে তফসিল ঘোষণার আগে অথবা পরে এদেশে যারা অর্থ লুট করেছে, ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ার বাজার ডাকাতি করেছে এই সকল ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী। প্রজাতন্ত্রের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি যে যে বিভাগে থাকেন না কেনো তাদের আমরা বলতে চাই, এই সকল চিহ্নিত ব্যক্তিরা যাতে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা আপনাদের গ্রহণ করতে হবে। যারা মালয়েশিয়া, কানাডায় সেকেন্ড হোম করেছে তাদের নাম আপনারা জানেন তাদের আপনারা চিহ্নিত করুন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার দেশনেত্রীর মুক্তি আটকিয়ে রেখেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি সম্ভবপর নয়। একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথ। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে নির্বাচনের দিকে এগুতে হবে। আমাদের আন্দোলন হবে আমাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য, সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্য, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে জন্য।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আগের রাতে বাসা-বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েও আপনারা জনসভার জনস্রোত রুখতে পারেননি। এই জনসভা আপনাদের পতন ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, এখনো সময় আছে সাবধান হোন। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্র গুম, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও এরশাদ ছাড়া সবাই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এই দুইটা একই। এই এরশাদ গৃহপালিত বিরোধী দল নয়, হিজড়া। গয়েশ্বর বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব প্রদান করা। এসব ছাড়া নির্বাচন নিয়ে ভাবার কোন সময় নাই।
শেখ হাসিনাকেও জেলে যেতে হতে পারে এমন সতর্কবার্তা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে এমনও হতে পারে স্বল্প সময়ে তার সাথে জেলে আপনার দেখা হবে। এজন্য আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের পথে আসুন, গণতন্ত্রের পথে যারা যাবে তাদের বাঁধা দেবেন না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা আপনার একটা নোয়াখালীর কাউয়া আছে, খালি কা, কা, কা, করে। সকাল নেই বিকেল নাই খালি কা কা করে। তিনি ১/১১’র ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। আপনারাই তো ১/১১’র আন্দোলনের ফসল।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভয়ভীতি করে ক্ষমতায় থাকার নীল নকশায় ওরা ভরসা করতে পারছে না বলে এখন ইভিএমের ওপর ভর করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। আর অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। নইলে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য যে সুনামি আসবে তাতে ইভিএমসহ সব কিছু ভেসে যাবে। দেশের জনগণ আজকে স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন, নির্বাচন কমিশনারকে বলতে চাই, আপনাদের কিসের ইভিএম-টিভিএম? বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঠ্যাং ভেঙে দেবো। তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারারাত হাসিনা সরকার তার পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিল আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজকের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে বলে যেতে চাই, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন। দুদু বলেন,‘শেখ হাসিনাকে অনেক বার বলেছি, বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠে গেছে, বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার রুমটা একটু ভালো করেন। কিন্ত আপনি তা শোনেন নাই। বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেদিন কি আপনি এই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারবেন? কথা খুব পরিষ্কার, ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৪ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকা আপনাকে দিতে হবে। এটা বাংলাদেশের টাকা।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে অবৈধ সরকারের পতনের আওয়াজ উঠেছে। সরকারের খুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। কিন্তু এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা টের পাচ্ছে না। আকাশে-বাতাসে, বৃক্ষে, বৃক্ষে, পাতায়, পাতায় পতনের আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে এটা আমাদের জন্য বেদনার ও লজ্জ্বার। উনি (শেখ হাসিনা) পারফিউম মেখে সেজে গুজে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবেন এভাবে দেশ চলতে পারে না। শেখ হাসিনাকে বলব, জনগণের আওয়াজ কী আপনি শুনতে পারছে না? এই আওয়াজ আপনার পতনের আওয়াজ। এই সরকারের নির্যাতনের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের লুটেরাদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবানও জানান তিনি। সোহেলের বক্তব্যের সময়ে নেতা-কর্মীরা মুহুর্র মুহুর্র করতালি দিয়ে তার বক্তব্য সমর্থন করে।
প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, আমানউল্লাহ আমান, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফজলুর রহমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, টাঙ্গাইলের শামসুল আলম তোফা, মুন্সিগঞ্জের কামরুজ্জামান রতন বক্তব্য রাখেন। অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ঢাকা মহানগরের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্র দলের রাজীব আহসানও বক্তব্য দেন।
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে নানাকর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হলো বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সকালে নগরীর ভূবন মোহন পার্কে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে পাঁচদিন ব্যাপি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু। সকাল নয়টায় প্রথমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে এবং দলীয় নেতাদের মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
সাবেক মেয়র ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য কাজী হেনা, বোয়ালিয়া থানার সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা সভাপতি শওকত আলী, সম্পাদক আলী হোসেন, মতিহার থানা সভাপতি আনসার আলী, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, শাহ্ মখদুম থানা সভাপতি নুরুজ্জামান শহীদ, যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. রওশন আরা পপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপনসহ থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। পরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর সকল কার্যালয়ে মাইকের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাষণ ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন, ২ সেপ্টেম্বর নগরীর সকল থানায়, ৩ তারিখ সকল ওয়ার্ডে, ৪ তারিখ মহানগর যুবদলের এবং ৫ তারিখে স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়ায় কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ কাদির, সুরুজ, কায়ছার, কর্মী আলফাজ উদ্দিন সজীব, আরিফ,সিজার,বাবু, মোস্তাক ,সামাদ, শামীম, পারভেজ, শাকিল, মুন্না, রাব্বি, সুমন মিয়া, মারুফ, মুক্তা, মাহামুদ, পারভেজ, নায়িম, মাহমুদ, সৌমিক, নাদিম, রিফাত, বাবু, পল্লব, আকাশ প্রমূখ।
জানাযায়, দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ আলমের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা কার্যালয়ে অবস্থায়। এ সময় র্যাব-ডিবি ও পুলিশের একাধিক টিম তাদেরকে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। পরে তারা জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেনের বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেন। তবে দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ কর্মসূচী পালন করতে না দিলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে মিছিল করেছে কোতয়ালী বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ফরিদপুর : ফরিদপুরে বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকেলে গোয়ালচামট পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে শহর বিএনপি ও কোতয়ালী থানা বিএনপির উদ্যোগ এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। কোতয়ালী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওহাব মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক- গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক- রঞ্জন চৌধুরী, জিয়া পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান মিয়া, বিএনপির অন্যতম সদস্য মিনান ও জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী জানান।
নোয়াখালী ব্যুরো ঃ জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে গতকাল আইনজীবি সমিতি মিলনাতনে আলোচনা সভা জেলা সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. সাহজাহান, সাবেক এমপি জয়নুল আবদীন ফারুক, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট জাকারিয়া, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান ও মাহবুব আলমগীর আলো প্রমুখ। পুলিশের বাধায় নির্ধারিত স্থান ডমুরুয়া-চৌ মোড়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে না পেরে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মো. মফিজুর রহমানের পরিকোটস্থ বাস ভবন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। ডমুরুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন¡ কাজী মোঃ মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক্ব আবদুল্লা আল মামুন, সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ভিপি মফিজুল ইসলাম প্রমুখ ।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে শনিবার স্থানীয় শেরে বাংলা পাঠাগার মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না মিয়ার সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপি সভাপতি এ্যাড.মজিবুর রহমান টোটন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড.ইউনুচ মোল্লা, আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.এটিএম মোজাম্মেল হোসেন তপন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর : শনিবার সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিএনপির আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি সালাহউদ্দিন ফারুক মামুন, সাধারন সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আকবার মৃধা প্রমুখ।
শরীয়তপুর : শরীয়তপুরে বিএনপির অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। হামলায় দুপক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌর এলাকার ধানুকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালুর বাস ভবনে হামলার এ ঘটনা ঘটে। পৌর এলাকার ধানুকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন কালুর বাস ভবনে এ অনুষ্ঠান চলছিল। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে হামলা করে। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।