রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে সরকার দলীয় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পদভারে মুখরিত রায়পুর। ইতোমধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ প্রত্যাশীরা তাদের সমর্থিত মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে একাধিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক প্রার্থীর সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর কৌশলে সমালোচনায় মেতে ওঠেছেন। ফলে মূলত দল একাধিকভাবে বিভক্তিত।
পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের শহরসহ সর্বত্রই। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থরা পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেসবুকে নিজ নিজ প্রার্থীর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে অহরহ। অভিযোগ রয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের অনেকেই লাখ লাখ টাকা ছড়াচ্ছেন নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনে রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভাট, স্কুল, মাদরাসার উন্নয়ন ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
বিভক্তিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সাংসদ আলহাজ হারুনুর রশীদ, বিএমএ নেতা ডা: এহসানুল কবির জগলুল, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন, তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন রিগ্যান। এ ছাড়াও আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, প্রজন্ম ’৭১ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুন্সির পক্ষেও ফেসবুকে প্রচারণা চলছে। এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি বলে চিহ্নিত। তাদের মধ্যেও রয়েছে বিভক্তি। তারা ঘর গোছানোর কাজে অহোরাত্র কাজ করে যাচ্ছে। যদিও বিএনপির মধ্যে সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়ার পক্ষে পাল্লা ভারী বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান। তা ছাড়া জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ মো. নোমান একক প্রার্থী বলে এখনো শোনা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।