পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লক্ষ্মীপুরে ইলিশের পর ঐতিহ্যবাহী আরও একটি খাবার হলো মহিষের কাঁচা দুধে তৈরি টক দই। সুস্বাদু ও জনপ্রিয়তায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দইয়ের বেশ সুনাম রয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবার পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি খাবার এই দই। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে উৎপাদন কম হলেও দেশব্যাপী টক দইয়ের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
স্থানীয়ভাবে পরিচিত মহিষের দই। জেলায় প্রতিদিন ১০ টনেরও বেশি দই উৎপাদিত হয়। বছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন মহিষের দুধের দই জেলায় বেচাকেনা হয়। দই উৎপাদনের জন্য প্রায় ৪ হাজার টন দুধ প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে রামগতি উপজেলার বয়ারচর, গজারিয়া, চরআবদুল্লাহ ও কমলনগর উপজেলার চর শামছুদ্দিন এবং লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাটসহ বিভিন্ন চর এলাকার চারণভূমি থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়।
দই বিক্রেতা, মহিষের চারণভূমি মালিক ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরে দই বিক্রি থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা আয় হয়। চাকরিজীবী ইয়াকুব আলী, ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ ও জামাল উদ্দিন জানান, সুযোগ পেলেই তারা মহিষের দই খেয়ে পরিবারের জন্য আনতে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ছুটে যান। বেশ কয়েকজন দই বিক্রেতা জানান, ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি ধরে দিনে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার দই বিক্রি হয়।
দই তৈরির বিষয়ে তারা জানান, চর থেকে দুধ আনার পর কাঁচা দুধ সরাসরি ১ থেকে ২ কেজি ধারণকৃত এক ধরনের পাত্রে ঢালা হয়। কাঁচা দুধ রাখার ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর জমে দই হয়। প্রতি লিটার দুধে ৯৫০ গ্রাম দই হয়। এই দই ফ্রিজিং ছাড়া এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। দই বসানোর টালিগুলো পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে আনা হয়।
রামগতি বাজারের দই বিক্রেতা নুরুজ্জামান প্রায় ৩২ বছর এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে দই বাধ্যতামূলক। খাবারের শেষ পর্র্বে ওয়ানটাইম কাপে ২৫০ গ্রাম দই থাকবে। অনেকেই পাতিল হিসেবেও অর্ডার করেন। এসব অনুষ্ঠানে গরুর দুধের দইয়ের অর্ডার খুব কম পাওয়া যায়।
দুধ বিক্রেতা মনির মিয়া জানান, মহিষের কাঁচা দুধে উৎপাদিত দইয়ের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় এখন মহিষের সংখ্যা অনেক কম। মহিষ পালনে লোকজন এখন কম আগ্রহ দেখাচ্ছেন। চারণভূমির মালিক রামগতি উপজেলার শাখাওয়াত মিয়া জানান, চরাঞ্চলে মানুষের বসবাস বেড়েছে। এছাড়া চাষাবাদও বেড়েছে। এতে মহিষের চারণভূমি কমেছে। এ জন্য অনেকেই মহিষ পালন ছেড়ে দিচ্ছেন ।
রামগতি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত মহিষ পালনে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। এ অঞ্চলটি গরু ও মহিষ পালনের উপযুক্ত স্থান। এখানে বিশাল বিশাল চর রয়েছে। গরু ও মহিষ চাষিদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা সবসময় থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।