Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক ফটোগ্রাফারের লড়াই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় একটি মিশন নিয়ে করছেন ব্রæকলিনের বাসিন্দা কার্লোস খলিল গাজম্যান। অনেকটা দক্ষতার সঙ্গেই এই মিশন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মুসলিমদের ব্যাপারে বিদ্যমান দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ছবি তোলেন এই মার্কিনি মুসলিম ফটোগ্রাফার। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে যে বৈচিত্র্য রয়েছে তা তুলে ধরতে চান। কার্লোস খলিল গাজম্যান গত দুই বছর ধরে মার্কিন মুলুকে মুসলিমদের নিয়ে তোলা এই ছবির সিরিজের নাম দিয়েছেন ‘মুসলিমস অব আমেরিকা’। এই ফটোগ্রাফারের ছবিতে উঠে এসেছে নারী-পুরুষ এবং নৃতাত্তি¡ক পরিচয় নির্বিশেষে মুসলিমদের জীবনধারা। যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি প্রদেশ থেকে এমন ৭৩টি ছবি তুলে এনেছেন কার্লোস খলিল গাজম্যান। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ১১৪টি সূরার সঙ্গে মিলিয়ে ১১৪টি ছবি তুলতে চান এই মার্কিনি ফটোগ্রাফার। এরইমধ্যে তার এই উদ্যোগ একটি ভ্রমণ প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। গাজম্যান বলেন, ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে মুসলিম ও অমুসলিম উভয় ধরনের মানুষকে শিক্ষা দেয়াই তার এই উদ্যোগের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এক সাক্ষাৎকারে কার্লোস খলিল গাজম্যান বলেন, তার এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, মুসলমান মার্কিনিদের পরিচয় শনাক্তকেন্দ্রিক অস্থিরতা ও আন্তঃসম্পর্কের বিষয়ে কথোপকথন বা আলাপ-আলোচনা তৈরি করা। ছবিগুলোর কোনওটির সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের আয়াত। কোনওটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাদিসের বাণী। তিনি বলেন, এই ফটো সিরিজ মূলত নারীদের প্রতি নজর দেওয়া হয়েছে। কেননা তারা প্রায়ই ঘৃণা এবং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়। এ ধরনের ঘটনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ২০১২ সালে কলেজে অধ্যয়নকালে ইসলাম গ্রহণ করেন কার্লোস খলিল গাজম্যান। কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফির ওপর ডিগ্রি অর্জনকারী এই ফটোগ্রাফার বলেন, তিনি তার কাজে মুসলিমদের ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করেছেন। কারণ ইসলাম যেন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে এখানে কিছু রাজনীতিবিদ, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং কিছু মিডিয়া মুসলিমদের শিকারে পরিণত করেছে। তারা অসত্য বক্তব্য তুলে ধরে দাবি করে, মুসলমানরা সহিংসতা এবং গণতন্ত্রের ক্ষয়ক্ষতি সমর্থন করে। এই উদ্যোগের বেশিরভাগই নিজের পকেট থেকে খরচ করেছেন কার্লোস খলিল গাজম্যান। প্রথমদিকে তিনি পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদেরও এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার আহŸান জানিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে তার এ প্রচেষ্টার খবর প্রকাশিত হয় এবং তা লোকজনের নজর কাড়ে। এই উদ্যোগে অংশ নিতে চান, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এমন মুসলিমদের কাছে তিনি ই-মেইল পেতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ আসতে শুরু করে। ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • Rubel Hasan ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:১৮ এএম says : 0
    May Allah bless him
    Total Reply(0) Reply
  • নাজমুল হক ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:১৯ এএম says : 0
    অনেক অনেক শুভ কামনা ও দোয়া রইলো তার জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • দাইমুল এহসান ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৩ এএম says : 0
    আল্লাহ এই ভাইকে তার দ্বীন প্রচারের জন্য কবুল করুক।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আব্দুল কাদির ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৫ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যেন এই বোনকে তাঁর রহমতের ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করেন, আমীন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ